সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) ফেভারিট হিসেবে তাদেরকেই এগিয়ে রাখছে ফুটবলবিশ্ব। আর তাতে যে সেলেকাওদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়ছে বই কমছে না, তা পরিষ্কার। তবে চাপ বাড়ে বাড়ুক, ‘কুছ পরোয়া নেহি’র ঢঙেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিতে।
বিশ্বকাপে যে মনোবিদ ছাড়াই দল কাতারে যাবে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন ‘প্রফেসর’। প্রসঙ্গত, ২০১৮-তেও রাশিয়ায় মনোবিদ ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন নেমাররা। তিতের স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমি নিজেই সাইকোলজিক্যাল কোর্সে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সেই অভিজ্ঞতা দিয়েই আমি প্লেয়ারদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে সাহায্য করতে পারব।’’
এদিকে, তুরিনে সাম্বা সমর্থকদের অপেক্ষার অবসান হল। দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিলেন নেমার, সঙ্গে সতীর্থ মার্কুইনোসও। বিশ্বকাপে নেমারই যে সেলেকাও আক্রমণের মধ্যমণি, তা বলার বাহুল্য। ২০০২-এর পর কাপ-যুদ্ধে সাফল্য নেই পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের (Brazil)। এবার দুরন্ত আক্রমণভাগ। চমৎকার মিডফিল্ড। মানানসই ডিফেন্স। সবদিক থেকেই তিতের ব্রাজিল কাপ জয়ের যোগ্য দাবিদার। কিন্তু এরমধ্যেও আক্রমণে অভিজ্ঞতার অভাব চোখে পড়ছে ব্রাজিল টিমে। নেমার, জেসুস ছাড়া আক্রমণের বাকিদের এর আগে বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
[আরও পড়ুন: গুজরাট ভোটে উভয় সংকটে জাদেজা, স্ত্রীর হয়ে প্রচারে নেমে দিদির রোষের মুখে তারকা ক্রিকেটার]
তবে ভরসা জোগাচ্ছেন সেলেকাওদের ফরোয়ার্ড লাইনের নতুন মুখরা। অ্যান্টনি যেমন। আয়াখস থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, সেখান থেকে সটান বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। জাতীয় দলে রেড ডেভিলেস তারকার উত্থানটা অনেকটাই ধূমকেতুর মতো। সবকিছুই যে খুব দ্রুত হচ্ছে, মানছেন অ্যান্টনি নিজেও। বলেছেন, ‘‘এই জায়গায় আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সাফল্য পেতে আরও পরিশ্রম আমাকে করতে হবে। বিশ্বকাপ আমার জন্য নতুন অধ্যায়। তাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’’
ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন। গতবছর কোপা আমেরিকায় ঠাঁই হয়নি তিতের দলে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার (Argentina) কাছে মারাকানায় কোপা হারের জ্বালা এখনও টাটকা অ্যান্টনির। বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে পর্তুগাল, ফ্রান্সের নাম নিলেও ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনাকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে চান অ্যান্টনি।