সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার ক্লাসিকোর শুরুর থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল (Brazil) ও আর্জেন্টিনা (Argentina) আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিল। তবে ঠিক ছ’মিনিট। বিশ্বফুটবলের অন্যতম ঐতিহাসিক ম্যাচ পরিণত হল ঐতিহাসিক এক বিতর্কে। আর যার জেরে ভেস্তেই গেল গোটা ম্যাচ।
ঘটনাটি কী? সাও পাওলোর নিও কুইমিকা এরিনায় ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা আগে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সংস্থা আনভিসার তরফ থেকে আর্জেন্টিনাকে বলা হয় করোনা বিধি ভাঙার কারণে চারজন ফুটবলারকে নামতে দেওয়া হবে না ম্যাচে। আর্জেন্টিনার সেই চার ফুটবলারের নাম এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জিওভানি লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্ডিয়া। ব্রাজিলের নিয়ম অনুযায়ী, ইংল্যান্ড থেকে কেউ দেশে ঢুকলে তাঁকে প্রথম কয়েকদিন নিভৃতাবাসে থাকতে হবে। তবে যে চার ফুটবলারের নাম বলা হল তাঁরা ইংল্যান্ড থেকে ব্রাজিলে প্রবেশ করলেও নিভৃতাবাসে যাননি। এ ছাড়াও সেই চার অভিযুক্ত ফুটবলার নাকি মিথ্যা বলেই ব্রাজিলে আসেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, প্রত্যেকেই নাকি ভেনেজুয়েলা ও আর্জেন্টিনা থেকেই ব্রাজিলে এসেছেন।
[আরও পড়ুন: India vs England: ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে আউট হয়ে এ কী করলেন বিরাট! সরগরম নেটদুনিয়া]
যদিও দেখা যাচ্ছে গত চোদ্দো দিনের মধ্যে চারজন ফুটবলারই ইংল্যান্ডে ছিলেন। তবে আনভিসার সতর্কবার্তা সত্ত্বেও আর্জেন্টিনার প্রথম দলে ছিলেন মার্তিনেজ, লো সেলসো ও রোমেরো। আর তাতেই যাবতীয় সমস্যা। ম্যাচের ঠিক ছ’মিনিটে মাঠে ঢুকে পড়ে আনভিসার স্বাস্থ্যকর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন আবার ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশের কিছু অফিসার। আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ অফিসাররা। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, দরকার পড়লে তাঁরা নাকি গ্রেপ্তারও করবেন চার অভিযুক্ত ফুটবলারকে। আর্জেন্টিনার মহাতারকা মেসি নাকি আবার আনভিসার স্বাস্থ্যকর্মীদের পালটা জিজ্ঞেস করেন, “আমরা তিন দিন ধরে ব্রাজিলে আছি। আপনাদের আজ মনে পড়ল যে কোভিড বিধি ভাঙা হয়েছে।”
এরপর ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়রা আবার মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুংমে চলে যান। মনে হচ্ছিল যেন ম্যাচ আবার শুরু হবে। ব্রাজিল ফুটবলাররা অন্তত মাঠে ছিলেন। তবে আর্জেন্টিনার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা আর মাঠে নামবে না। শেষমেশ কনমেবলের তরফ থেকে জানানো হয়, রেফারির সিদ্ধান্ত মেনেই বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের এই ম্যাচ স্থগিত করা হল। কোপা আমেরিকার পর ফের একবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, কিন্তু শেষপর্যন্ত ম্যাচ না হওয়ায় হতাশই হলেন ফুটবলপ্রেমিরা।