সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশ, নেপালের পর এবার ব্রাজিল (Brazil)। ভারতের কাছে কোভিডের প্রতিষেধক চাইল দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি। দ্রুত টিকা পৌঁছে দেওয়ার আরজি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইরে বলসোনারো। শুক্রবার চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে তালিকার প্রথম তিনটি দেশের মধ্যেই রয়েছে ব্রাজিল। অথচ সে দেশে কোভিড টিকাকরণের (COVID Vaccine) প্রস্তুতি এখনও শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে কোভিড প্রতিষেধক নিয়ে ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের উপর চাপ বাড়ছে। সে দেশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশপাশের দেশে টিকাকরণ শুরুর প্রস্ততি তুঙ্গে। অথচ ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের সেদিকে হুঁশ নেই। এমন পরিস্থিতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
[আরও পড়ুন : আমেরিকাই পিয়ংইয়ংয়ের সবথেকে বড় শত্রু, বিডেনের শপথের আগেই তোপ কিম জং উনের]
সেই চিঠিতে মোদির উদ্দেশে বলসোনারো লিখেছেন, “জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচি অবিলম্বে কার্যকর করতে চাই। তাই জরুরি ভিত্তিতে ২০ লক্ষ টিকার ডোজ সরবরাহ করলে ভাল হয়। তবে এ নিয়ে ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচি যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, তা দেখাটাও জরুরি।” উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ভারতের কাছে টিকা চেয়েছে। প্রতিষেধক নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসেই ভারতে আসছেন নেপালের মন্ত্রী। চিনের বদলে ভারতের টিকাতেই ভরসা রাখছেন তাঁরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বারবার জানিয়েছেন, শুধু দেশে নয় বিশ্বের প্রতিটি কোনে করোনার প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ভারত। তাই এই দেশদুলির আবদেন যে জরুরি ভিত্তিতে ভারত মঞ্জুর করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জানা গিয়েছে, শুধু ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের নয়। ‘কোভিশিল্ড’–এর অপেক্ষায় রয়েছে সে দেশের ফিয়োক্রুজ বায়োমেডিক্যাল সেন্টার। কারণ, সে দেশে অক্সফোর্ডের এই টিকা তৈরি হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করেছে সেরাম। ব্রাজিলে ওই টিকার উৎপাদন সম্পূর্ণ করতে বেশ কিছু উপাদান দরকার। শনিবার উপাদানগুলি পৌঁছে যাওয়ার কথা সে দেশে। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ওই উপাদানগুলি আসে চিন থেকে। তাই রপ্তানি ক্ষেত্রে চিনের ছাড়পত্র দরকার। তা এখনও মেলেনি। এদিকে দেশে টিকা তৈরির পাশাপাশি সেরামের টিকার ২০ লক্ষ ডোজ ভারতের কাছে চাইল ব্রাজিল।