সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। ভারতের মাটিতে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০০ কোটি পাউন্ডের বিনিয়োগ করতে চায় ব্রিটিশ সরকার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, আগামীকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জনসন। তাঁর এই ভারত সফরের মূল উদ্দেশ্যই হল ভারত এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে (India-UK Trade Relation) আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে ঘোষণা করা হয়, “ব্রিটেন এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ১০০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি বিনিয়োগ হবে আজকে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়রিং, স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগ করা হবে। এর ফলে প্রায় এগার হাজার কর্মসংস্থান হবে গোটা ব্রিটেনে।” দিল্লিতে ব্রিটিশ হাই কমিশন আরও জানিয়েছে, ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে আজ। প্রসঙ্গত, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগ। সেখানেও যাবেন জনসন। ব্রিটিশ উদ্যোগে তৈরি হওয়া একটি কারখানার উদ্বোধনেও অংশগ্রহণ করবেন তিনি। আজকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত- ব্রিটেনের নতুন সহযোগিতার কথা জানাবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাতে সাদা রিবন না পরলেই গুলি! মারিওপোলের নাগরিকদের চরম হুঁশিয়ারি রুশ সেনার]
ভারতে এসে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, “আজ ভারতে এসে আমি দেখতে পাচ্ছি ভারত এবং ব্রিটেন- দুই দেশ একসঙ্গে মিলে অনেক কিছু করতে পারে। আগামী দিনের ৫জি টেলিকম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, সব জায়গাতেই উন্নতি হতে পারে। এই সব ক্ষেত্রে ভারত এবং ব্রিটেনই পথ দেখাচ্ছে সারা বিশ্বকে।” ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘পাওয়ারহাউজ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। “আমাদের এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের ফলে প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হছে, দেশের বৃদ্ধি হচ্ছে। আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক।” ইতিমধ্যেই গুজরাটের সবরমতী আশ্রমে পৌঁছে গিয়েছেন জনসন। গান্ধীর আদর্শের প্রশংসা করেছেন ভিজিটরস বুকে।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য যুগ্ম ভাবে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করবে ভারতের আদানি গ্রুপ এবং ব্রিটিশ সরকারের চেভেনিং প্রোগ্রাম। এছাড়াও বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে, যার মধ্যে অন্যতম হল স্বাস্থ্যে ডিজিটাল পার্টনারশিপ। আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি সই করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভারতে এসে খুবই ভাল লাগছে তাঁর, আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ, এমনটাই জানিয়েছেন বরিস জনসন।