সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনি শরণার্থীদের রুখতে এবার নয়া আইন প্রণয়ন করতে চলেছে ব্রিটেনের সরকার (British Government)। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সাফ জানিয়ে দেন, বেআইনিভাবে ব্রিটেনে ঢুকলেও সেদেশে থাকতে পারবেন না শরণার্থীরা। স্বরাষ্ট্র সচিব (Home Secretary) সুয়েলা ব্রেভারম্যান (Suella Braverman) বলেন, শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান ব্রিটেনবাসী। প্রসঙ্গত, গত এক বছরে প্রায় ৪৫ হাজার শরণার্থী বেআইনিভাবে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ব্রিটেনে ঢোকার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিখ্যাত সংবাদপত্র সানের সূত্রে জানা গিয়েছে, শরণার্থী (Illegal Migrants) সমস্যা ঠেকাতে কয়েকদিনের দিনের মধ্যেই নতুন আইন প্রণয়ন করবে ব্রিটিশ সরকার। এই প্রসঙ্গে রবিবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ঋষি বলেন, “চিরদিনের জন্য বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। করদাতা ব্রিটেনবাসীর উপর শরণার্থীদের ভার চাপিয়ে দেওয়া অত্যন্ত অন্যায়। এটা বন্ধ করতে হবে। সকলে জেনে রাখুন, ভুল করেও যদি ব্রিটিশ সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ঢুকে পড়েন, তাহলেও এই দেশে তাঁদের থাকা হবে না।”
[আরও পড়ুন: অ্যাডিনো সংক্রমণে ভরসা জল আর প্যারাসিটামল, বার্তা ICMR-এর]
ঠিক কী আইন আনতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার? সূত্রের খবর, নয়া আইন মোতাবেক শরণার্থী বোঝাই নৌকাগুলিকে ব্রিটিশ সীমানা পেরিয়ে ঢোকার অনুমতিই দেওয়া হবে না। তবে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে না শরণার্থীদের। তৃতীয় কোনও নিরাপদ দেশে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে কোন দেশে শরণার্থীদের পাঠানো হবে, কীভাবে তাঁরা সেই তৃতীয় দেশে পৌঁছবেন, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। শরণার্থী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোকপাত করা হয়নি নয়া আইনে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের (Rishi Suank) অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল শরণার্থী সমস্যার সমাধান করা। তাঁর পূর্বসূরি বরিস জনসনের পরিকল্পনা ছিল, ব্রিটেনের শরণার্থীদের রোয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের নির্দেশে বানচাল হয় সেই পরিকল্পনা। এবার কি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সেই পথেই হাঁটতে চাইছে সুনাকের প্রশাসন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে।