স্টাফ রিপোর্টার: বিসর্জনের শোভাযাত্রার মালবাহী গাড়ি থেকে দুই ছাত্রীর উপর ছোড়া হল চকোলেট বোমা৷ ভাইফোঁটার রাতে বোনের সম্মান রক্ষা করতে এই আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে আক্রান্ত হলেন দাদা৷
রাস্তার উপরই বাঁশ দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রের মাথায় মারা হয়৷ দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন স্কুলছাত্রী বোন ও এক বন্ধুও৷ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এই বিষয়ে পূর্ব কলকাতার ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়৷ বুধবার বিকেলেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় চার যুবক৷
পুলিশ জানিয়েছে, ভাইফোঁটার রাতে বোন ও বন্ধু-বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বেলেঘাটার একটি নামী মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন মধ্য কলকাতার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ ঘোড়ুই৷ ওই ছাত্রের সঙ্গে ছিলেন উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী তাঁর বোন, এক বন্ধু ও বান্ধবী৷ সিনেমা শেষ হওয়ার পর তাঁরা অটো ধরার জন্য এগোচ্ছিলেন৷ তখনই চলছিল বিসর্জনের শোভাযাত্রা৷ একটি মালবাহী গাড়ি থেকে কয়েকজন যুবক দুই ছাত্রীর দিকে লক্ষ্য করে চকোলেট বোমা ছোড়ে৷ চার তরুণ-তরুণী প্রতিবাদ করে উঠলে গালিগালাজ করতে করতে চলে যায় তারা৷ বোনের সম্মান রক্ষা করতে তাদের তাড়া করেন শুভজিৎ৷ অন্যরাও দৌড়ে গিয়ে ইএম বাইপাস ও নারকেলডাঙা মেন রোডের সংযোগস্থলে গাড়িটিকে ধরে ফেলেন৷ তখনই গাড়ি থেকে চার যুবক লাঠি ও বাঁশ নিয়ে নেমে আসে৷ তারা প্রথমে শুভজিত্ ঘোড়ুইকে বাঁশ দিয়ে মারে৷
তাঁর মাথায় পাঁচটি সেলাই করতে হয়৷ তাঁর চোখের নিচে ও মুখেও আঘাত করে তারা৷ দাদাকে মারতে দেখে রুখে দাঁড়ান বোনও৷ তাঁর ও তাঁদের বন্ধু আকাশের উপরও হামলা চালানো হয়৷ তাঁরা ছুটে গিয়ে কাছেই একটি পুলিশ কিয়স্কে বিষয়টি জানান৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সামনেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশকর্মীরা ফুলবাগান থানাকে বিষয়টি জানালে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে৷ তখন গাড়ি নিয়ে পালায় ওই যুবকরা৷ মালবাহী গাড়িটির নম্বর পুলিশকে জানানো হয়৷ তারই সূত্র ধরে গাড়িটিকে ধরে ফেলে পুলিশ৷ যারা গাড়িতে ছিল, তাদের শনাক্তকরণ হয়৷ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শান্তনু প্রসাদ, সোমনাথ মাইতি, অজয় মল্লিক ও সোমনাথ বেরা নামে ফুলবাগানের ক্লাবের চার সদস্য৷ ধৃতদের জেরা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷