বিক্রম রায় ও জ্যোতি চক্রবর্তী: অশান্তির আগুন পড়শি দেশে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করল বিএসএফ। সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এমনকী, কলকাতায় এসেছেন বিএসএফের ডিজি। ইতিমধ্য়ে চ্যাংড়াবান্ধা, পেট্রাপোল সীমান্তে বন্ধ দুদেশের বাণিজ্য। সবমিলিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে বিমান ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
রাজ্যের উত্তর এবং দক্ষিণে একাধিক জেলায় রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারা। স্থল বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে। থমথমে পরিস্থিতিতে বিএসএফের কড়া পাহারায় সিল করা হয়েছে সীমান্ত। ইতিমধ্যেই হিলি সীমান্তের বাংলাদেশ প্রান্তে শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের পোস্টার-ব্যানার ছেড়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে। যদিও বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, দুদেশের সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীন দেশে স্বাগত’, হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই ‘নিকৃষ্ট, নিষ্ঠুরতম স্বৈরশাসক’ কটাক্ষ ফারুকীর]
একই ছবি পেট্রাপোল সীমান্তেও। হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে। বাহিনী বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ প্রান্তে বেনাপোল সীমান্তে অশান্তির আবহাওয়া। ভাঙচুরের শব্দ পেয়েছেন সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসা বাংলাদেশিরা। আপাতত দুদেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে দুদেশের মধ্য়ে রেল যোগাযোগও। রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামী সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। একদিকে ঢাকার রাস্তায় ‘স্বাধীনতা’র বিজয় উল্লাস চলছে। অন্যদিকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবর রহমানের মূর্তি। পদ্মাপারের ইতিহাসে এমন ‘কালো দিন’ সম্ভবত আসেনি। গোটা দেশ সেনাবাহিনীর দখলে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বতী সরকার গড়বে বলে ঘোষণা করেছে সেনা।