সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা পরও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখল পাকিস্তানি সেনা। তবে পালটা জবাব দেয় বিএসএফও। এই ঘটনায় ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে শিয়ালকোটের চার পাক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন’-এর খবর অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৬.৪০ মিনিট নাগাদ সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফের গোলাগুলি বর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা জবাব দেয় বিএসএফ। এই হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। পাক সেনার গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই উপত্যকাবাসী।
[‘পাকিস্তানে ঢুকে মারো, পাশে আছি’, মোদিকে আশ্বাস নেতানিয়াহুর]
উল্লেখ্য, ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া উপত্যকার আরএস পুরা, রামগড়-সহ প্রায় ৩০টি জায়গায় গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। উপদ্রুত এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের লক্ষ্য করেই গোলাগুলি, মর্টার শেল ছুটে আসছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে। ইতিমধ্যেই উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে সেনা। কিছু মানুষ এখনও বাড়িতেই রয়ে গিয়েছেন। রাতভর গুলির লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেয়নি পাকিস্তান। এরআগে সাধারণত রাতেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান গুলি চালিয়েছে সীমান্তের এপারে। এবারেই একেবারে সাত সকালে আক্রমণে গেল পাক সেনা। যখন গ্রামাঞ্চলের মানুষের সকাল শুরু হয়. তখন আচমকাই ওপার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসতে থাকে, সঙ্গে মর্টার শেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রাণ হারান দুই বাসিন্দা। গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন দুই বিএসএফ জওয়ান। এখনও গুলির লড়াই অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। পালটা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় জওয়ানরাও।
প্রসঙ্গত, নতুন বছর শুরুতেই শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণে উপত্যকার সোপোর এলাকায় চার পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পুলিশের একটি গাড়ি। ঘটনাস্থল থেকে লস্কর জঙ্গির পোশাকের টুকরো খুঁজে পায় পুলিশ। পরের দিনই বান্দিপোরা থেকে গ্রেপ্তার হয় সন্দেহভাজন জৈশ জঙ্গি। তারপর পাকিস্তানের তরফে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। গতকাল সকালেই ফের গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তান। এখনও গুলির লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
[নৃশংস! কিশোর ছেলেকে টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে মারল মা]
The post নিয়ন্ত্রণরেখায় রেঞ্জার্সের গুলিবর্ষণের যোগ্য জবাব বিএসএফ-এর, হত ৪ পাক নাগরিক appeared first on Sangbad Pratidin.