সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্যে দুষ্কৃতিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন বহুজন সমাজ পার্টি’র (বিএসপি) নেতা রাজেশ যাদব। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তাঁর উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। প্রকাশ্যে গুলি করা হয় তাঁকে। গুলির শব্দে আশেপাশের মানুষজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। তারপর হাসপাতাল নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাজেশ যাদবের মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠে এলাহাবাদ শহর। রাস্তায় নেমে পড়ে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দল বিএসপি-র সমর্থকরা। প্রবল ক্ষুব্ধ সমর্থকদের রোষের মুখে পড়ে হেনস্তার শিকার হন সাধারণ মানুষ। বেশ কয়েকটি বাস ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। পুলিশের সঙ্গেও শুরু হয় হাতাহাতি। ওই ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
[কাশ্মীরে জেহাদের জাল, জড়িত রোহিঙ্গাদের একাংশ: রিপোর্ট ]
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তারাচাঁদ হোস্টেলে গিয়েছিলেন মৃত বিএসপি নেতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুকুল সিং নামের এক বন্ধু। সেখানেই কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরেন যাদব। বচসার জেরেই তাঁকে গুলি করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান মুকুল সিং। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টা বিফল করে মৃত্যু হয় তাঁর। এলাহাবাদের পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থশংকর মীনা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি খালি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে হামলাকারীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে কে বা করা এই হত্যায় জড়িত তা এখনও জানা যায়নি।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির বাসিন্দা রাজেশ যাদব মায়াবতীর দলের এক বিশিষ্ট নেতা। চলতি বছর বিএসপি-র হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেন তিনি। হত্যার কারণ বা হামলাকারীদের খোঁজ না পাওয়া গেলেও অনেকেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারণেই হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। ইতিমধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে দলের সমর্থকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাহাবাদ শহর জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।
[বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ, সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি ‘পাপা’স অ্যাঞ্জেল’ হানিপ্রীতের]