বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনও কাটেনি ঝিমুনি ভাব। যে কারণে তাঁকে ইমিউনোসাপ্রেস্যান্ট জাতীয় ওষুধ টোসিলিজুমাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা মনে করছেন, বুদ্ধবাবুর শরীরে প্রদাহজনিত যে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এই ওষুধ। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। স্থিতিশীল বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য (Meera Bhattacharya)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বুদ্ধবাবু সামান্য কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। এখনও প্রতি মিনিটে ৩ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। রাতে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা হয়। মাপা হয় হৃদস্পন্দনও। রুম এয়ারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯২। হার্ট বিট প্রতি মিনিটে ৫৬। তাঁর রক্তে সি রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিনের মাত্রা বাড়ছে। তা নিয়ন্ত্রণ করতেই এদিন উচ্চ মাত্রায় রেমডেসেভির দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোভিড (COVID-19) পজিটিভ হন। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘যশে’র দাপটে বিপর্যস্ত রাজ্যের ১ কোটি মানুষ, শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী]
চিকিৎসকদের ধারণা, কড়া ওষুধের প্রভাবেই তাঁর একটা তন্দ্রাচ্ছন্নভাব রয়েছে। হাসপাতালের ৩১৩ নম্বর কেবিনে কড়া নজর রেখেছেন চিকিৎসকদের টিম। যে টিমে রয়েছেন, ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক চক্রবর্তী, ইন্টারনাল মেডিসিনের ডা. ধ্রুব ভট্টাচার্য, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞ ডা. সৌতিক পাণ্ডা, বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সরোজ মণ্ডল।
দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসফুসের অসুখ সিওপিডিতে (COPD) ভুগছেন বুদ্ধবাবু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক চিকিৎসক ডা. সোমনাথ মাইতি চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, সিওপিডির কারণে কি কি ওষুধ খেতেন বুদ্ধবাবু। মঙ্গলবার রাতে প্যানিক অ্যাটাক নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন মীরা ভট্টাচার্য। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানা গিয়েছে।