shono
Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্বে বুদ্ধই, জানাল উচ্চশিক্ষা দপ্তর

বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল আচার্য-রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
Posted: 10:10 AM Jan 06, 2024Updated: 10:10 AM Jan 06, 2024

স্টাফ রিপোর্টার : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। জানিয়ে দিল, অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাবেন বুদ্ধদেব সাউই। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে চিঠি পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। তাতে বলা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বরের চিঠিতেই দপ্তর নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল। ওই চিঠিতেই বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্যের ক্ষমতার ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছিল। গত ২৩ ডিসেম্বর যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল আচার্য-রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ওইদিন রাতে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠিতেই আচার্যের এককভাবে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এবং বুদ্ধদেব সাউকেই উপাচার্যের ক্ষমতার ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদনকারীকে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছিল।

Advertisement

এই নিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে স্পষ্টীকরণ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কিন্তু, এই চিঠির পরেও কাটল না টানাপোড়েন। কারণ, বৃহস্পতিবারই রাজভবন থেকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অনুমোদিত’ উপাচার্য নন বুদ্ধদেব সাউ।

[আরও পড়ুন: বয়স ভাঁড়িয়ে খেলছে ১২ বছরের বৈভব? বিহারের ক্রিকেটারকে নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে]

আচার্য-রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজভবনের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত চিঠিটি পাঠানো হয়েছে যাদবপুরের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। তাতে বলা হয়েছে, বুদ্ধদেব সাউকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া যাবে না। এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যাতে অননুমোদিত কর্তৃত্ব না ফলান, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রেজিস্ট্রার ও সহ-উপাচার্যকে। তাঁদের থেকে কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে। এর প্রেক্ষিতে বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবথেকে বড় বডি কোর্টের প্রত্যেক সদস্য তাঁর চিঠি অমান্য করে, রাজ্য সরকারের চিঠিকে মান্যতা দিয়েছে। সেই কোর্টের বিরুদ্ধে ওঁর একটাও কথা নেই। ব্যক্তি বুদ্ধদেব সাউয়ের পিছনে কেন পড়েছেন? এ তো দুর্বলের উপর সবলের আক্রমণ।”

[আরও পড়ুন: ‘ওঁরা খুব সাহসী’, সন্দেশখালিতে আহত ED অফিসারদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement