সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ১২ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার কড়া হাতে মাঠে নামল যোগী সরকার। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সপা নেতা মইন খানের বেকারি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। পাশাপাশি এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে মাঠে নেমেছে যোগী সরকার।
১২ বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। অভিযোগ, কয়েক মাস আগে চাষের জমিতে কাজ করার সময় নাবালিকাকে নিজের বেকারিতে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন সপা নেতা মইন খান ও তাঁর বেকারির কর্মীরা। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ড কড়া হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেকারির মধ্যেই ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়লে প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। নাবালিকার মা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলেও সে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। জানা যায়, যে জমিতে ওই পুলিশ ফাঁড়ি ছিল সেটি মইনের জমির উপর। এবং তা সরকারের তরফে ভাড়া নেওয়া হয়। ফলে সেখানে ওই সপা নেতার প্রভাব ছিল যথেষ্ট।
[আরও পড়ুন: ঋণের বোঝা কমাচ্ছে রাজ্য, তথ্য তুলে ধরে বিধানসভায় দাবি চন্দ্রিমার]
এদিকে ভয়ংকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। এর পর শুক্রবার নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনা জানার পর দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। শনিবার দেখা যায় স্থানীয় পুরসভা বুলডোজার-সহ হাজির হয়েছে মইনের বেকারির সামনে। পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বেকারি। প্রশাসনের দাবি, বেআইনিভাবে ওই বেকারি তৈরি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এই ঘটনায় মইন খানের পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: উপত্যকায় অশান্তির জের! BSF-এর প্রধান ও উপপ্রধানকে সরাল কেন্দ্র]
পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, নিজে সমাজবাদী পার্টির দাপুটে নেতা হওয়ার পাশাপাশি ফৈজাবাদের সপা সাংসদ অবধেশ প্রসাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই অভিযুক্ত। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভাতেও সরব হন যোগী আদিত্যনাথ। অভিযোগ করেন, নাবালিকা ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও মইন খানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সপা। বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সমাজবাদী পার্টিকেও।