দেবাশিস সেন, নিউ ইয়র্ক: ভারত বনাম আমেরিকা ম্যাচ শেষ হওয়ারই যেন অপেক্ষা ছিল। স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি-সারি বুলডোজার। ভেঙে ফেলা হবে নাসাউ কাউন্টির স্টেডিয়াম (Nassau County Stadium)। যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে আমেরিকা। বাবরদের বিরুদ্ধে (Ind vs Pak) রূপকথার জয়ও এখানেই। অথচ কদিন পরেই ফের ফাঁকা মাঠে পরিণত হবে এই স্টেডিয়াম।
ভারত-আমেরিকার ম্যাচটাই ছিল নাসাউ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup 2024) শেষ ম্যাচ। এই ভেন্যুতে আর কোনও ম্যাচ নেই। কানাডার সঙ্গে ভারতের পরবর্তী ম্যাচটি হবে ফ্লোরিডায়। ফলে অস্থায়ী স্টেডিয়ামটি এখনই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা সম্ভাবনা ছিল যে, এখানে হয়তো মেজর লিগ ক্রিকেট আয়োজন করা হতে পারে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফ্রাঞ্চাইজি দল খেলবে নিউ ইয়র্ক থেকে। কিন্তু এমএলসি কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ অভিযান শেষ! চুক্তি জটিলতায় স্টিমাচের পদত্যাগের দিকে এখন তাকিয়ে ফেডারেশন]
মাত্র পাঁচ মাস আগে যে ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, তা দেখে চোখ কপালে উঠেছিল ক্রিকেট ভক্তদের। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের মাঠ ছিল চাষের জমি! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল আমেরিকার আয়োজন ব্যবস্থা নিয়ে। যদিও তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করে বিশ্বকাপ শুরুর পনেরো দিন আগেই স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে গিয়েছিল। খরচ হয়েছিল আনুমানিক ২৫০ কোটি। আসনসংখ্যা ৩৪ হাজার।
ছবি: দেবাশিস সেন।
মাঠের পিচ আনা হয়েছিল ফ্লোরিডা থেকে। যাকে বলা হচ্ছে ড্রপ-ইন পিচ। এটাকে বলা হচ্ছিল ক্রিকেটের প্রথম ‘মডিউলার’ স্টেডিয়াম। তাই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। নরম মাঠ, ধীরগতির আউটফিল্ড, সর্বোপরি পিচের চরিত্র নিয়ে জেরবার হয়েছে দলগুলি। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বুধবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এই অস্থায়ী স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ। অনুমান, ছয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। ফাঁকা মাঠে পড়ে থাকবে শুধু বিশ্বকাপের স্মৃতি।
ছবি: দেবাশিস সেন।