রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করল, তখন আনুমানিক হাজার ২০ ভারতীয় ইউক্রেনে আটকে, যার সিংহভাগই ডাক্তারি ছাত্র। কিন্তু এত ছাত্রছাত্রী কেন ইউক্রেনে পড়তে যায়? চিকিৎসার মান কি ভারতের থেকে উন্নত? ইউক্রেনে পড়ার সুযোগ পেতে যোগ্যতা-মান কী? খরচ কত? কেমন ‘মান’ ওখান থেকে পাস করা এইসব চিকিৎসকের? লিখছেন অভিজিৎ তরফদার
পরপর দু’টি ঘটনা। এক, অতিমারীর সূচনায় চিনের ইউহানে আটকে পড়েছিল অসংখ্য ভারতীয়- যাদের অধিকাংশই ডাক্তারি ছাত্র। দুই, রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করল, তখন আনুমানিক ২০ হাজার ভারতীয়কে ইউক্রেন থেকে বের করে আনা এক জটিল কূটনৈতিক সমস্যা তৈরি করল। সেই ২০ হাজারের সিংহভাগই ডাক্তারি পড়ুয়া। আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্ররা সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসুক এই প্রার্থনা আমারও। তবু এই প্রেক্ষিতে কিছু অনিবার্য প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে, সেগুলিকে পরপর সাজিয়ে ফেলা দরকার।
ক) বেছে বেছে, কেন ডাক্তারি পড়ুয়ারাই দেশ ছেড়ে বিদেশে পা বাড়ায়? ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন বা অর্থনীতি পড়তে ছাত্ররা দলে দলে চিন, রাশিয়া বা ইউক্রেন পাড়ি দিয়েছে এমন তো দেখা যায় না? খ) তাহলে কি আমাদের দেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান এমন তলানিতে এসে ঠেকেছে যে, এদেশের ডাক্তারি শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্ররা আর আন্তর্জাতিক বাজারে কল্কে পাচ্ছে না? গ) চিন, রাশিয়া বা ইউক্রেনের চিকিৎসা শিক্ষা সত্যিই কতখানি উন্নত? ঘ) কী বাড়তি সুযোগ-সুবিধা সেখানকার শিক্ষাপদ্ধতি দিচ্ছে? ঙ) ওসব দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা শেষে ভারতীয় ছাত্ররা দেশে ফিরে কতখানি প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে? চ) দেশে ফিরে তারা কতখানি ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞান, তার শিক্ষা ও প্রয়োগকে সমৃদ্ধ করতে পারছে?
[আরও পড়ুন: ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিতে পারবেন কি পুতিন?]
প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা যাক। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, ভারতে কর্মহীনতা হু-হু করে বাড়ছে। শিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যাও আকাশছোঁয়া। তার মধ্যে উচ্চশিক্ষিতরাও পড়ে। বছর ২০ আগেও যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর জন্য মা-বাবাদের লাইন পড়ে যেত, ঘরে ঘরে শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার বেকার পুষতে পুষতে ক্লান্ত হয়ে সেসব বাবা-মা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর উচ্চাশায় জল ঢেলে দিয়েছেন। ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকটাই তাদের ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছে। এখনও কিন্তু এমবিবিএস ডাক্তার পিওনের চাকরিতে ইন্টারভিউ দিচ্ছে- এমন দৃশ্য সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়নি। অর্থাৎ, ডাক্তারি পাস করলে দু’বেলা খাওয়া-পরার অভাব হবে না- এমন একটা ভরসা এখনও গড়পড়তা ভারতীয়র মস্তিষ্কে জায়গা পায়।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, ইউক্রেনের চিকিৎসা শিক্ষার মান যথেষ্ট উন্নত, এবং তা ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’, ‘ইউনেস্কো’-র তো বটেই, ইংল্যান্ডের ‘জেনারেল মেডিক্যাল কাউন্সিল’-ও অনুমোদন করে। তথ্যসূত্র জানা নেই, হতে পারে যেসব এজেন্সি ইউক্রেন যাওয়ার বন্দোবস্ত করে তাদের কাছ থেকেই জানা যাচ্ছে এই তথ্য। কিন্তু ভারতীয় ডাক্তারি ডিগ্রিও তো এসব সংস্থার প্রতিটিকেই অনুমোদন করে।
অবশ্য ইউক্রেনীয় ডিগ্রি ‘পাকিস্তান মেডিক্যাল কাউন্সিল’ স্বীকার করে- সে যোগ্যতা ভারতীয় ডিগ্রির আছে কি না, জানা নেই। ভারতীয় ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাসপাতালগুলোর উচ্চতম স্থানে অধিষ্ঠান করেন, এ-ও বহুজনস্বীকৃত সত্য। সুতরাং, ভারতীয় চিকিৎসা শিক্ষার মান রাতারাতি এতখানিই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে, পড়ুয়াদের সব ফেলে বিদেশে, তা-ও ইউক্রেনের মতো দেশে পাড়ি দিতে হচ্ছে, এমনটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘনত্ব প্রতি এক কোটি মানুষে চারের কাছাকাছি। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য যে সর্বভারতীয় পরীক্ষা হয়, (NEET-UG) সেখানে ২০২১-এ পরীক্ষা দিয়েছিল ১৬ লক্ষ। তার মধে্য ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে সাড়ে ৪৪ হাজার। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে তা তিনেরও কম। ঘুরিয়ে বললে, ডাক্তারি পড়তে চায় এমন ছাত্রছাত্রীদের ৯৭ শতাংশই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এদের মধে্যও একটা বড় অংশ সামান্য কিছু নম্বরের জন্য ভর্তির যোগ্যতা-মান পেরতে পারেনি। এদের অনেকেই কিন্তু ছোট থেকে ‘ডাক্তার’ হওয়ার ইচ্ছা মনের গভীরে লালন করেছে। আর ইউক্রেনে পড়ার সুযোগ পেতে যোগ্যতা-মান কী? ওই ‘নিট’ পরীক্ষায় পাস করতে হবে (প্রথম ৩ শতাংশের বাইরে, যারা থেকে গেল), এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। অর্থাৎ ‘নিট’-এ যারা যোগ্যতার দাগ পার হতে পারল না, তাদের অনেকেই কিন্তু ইউক্রেনে পড়তে সুযোগ পাওয়ার যে-যোগ্যতা, তা অতিক্রম করে বসে আছে।
এবারে আর-এক যোগ্যতার কথা! পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, এখন ভারতেও, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা শিক্ষা ক্রয়যোগ্য। অভিযোগ, প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলো ‘ম্যানেজমেন্ট কোটা’ এবং ‘এনআরআই কোটা’-র নাম করে অনেক সিট নিলামে চড়ায়। যে কোনও স্বীকৃত প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে এক-একটি ডাক্তারি সিট ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা অবধি দামে বিক্রি হয়। এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা অধিকাংশ ভারতীয়ের পক্ষেই আকাশকুসুম। ইউক্রেনের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে খরচ অনেক কম। একদা সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে এখনও স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষায় সরকার ভরতুকি দেয়। ফলে ওসব দেশের ছাত্রছাত্রীরা নামমাত্র মূল্যে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায়। বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা, যাদের মধ্যে ভারতও পড়ে, সুযোগ পেয়ে পড়তে এলে তাদের কাছ থেকে কোর্স ফি বাবদ ও হস্টেল ফি ইত্যাদি খাতে যে-মূল্য নেওয়া হয়, তা ভারতে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলোতে পড়তে যে টাকা লাগে, তার এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ খরচের বিচারেও ইউক্রেনের ডাক্তারি শিক্ষা ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেকখানিই কম। সুতরাং, সহজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ এবং কম অর্থদণ্ড- এই দ্বিমুখী আকর্ষণ বহু ছাত্রছাত্রীকে ইউক্রেনের মেডিক্যাল কলেজগুলোর দিকে আকর্ষণ করে।
পরবর্তী প্রশ্ন, ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ে, দেশে ফিরে এসব ডাক্তার কী করছে? ইউক্রেন থেকে যারা ইউরোপ বা অন্যান্য দেশে চলে যায়- সেসব মুষ্টিমেয়কে বাদ দিলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই কিন্তু ডাক্তারি শিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে আসে। এবারে দেখা যাক তাদের কী হাল?
দেশে ফিরে এসব ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি প্র্যাকটিস শুরু করার আগে একটি ‘বাধ্যতামূলক যোগ্যতানির্ণায়ক’ পরীক্ষা দেয় (Foreign Medical Graduate Examination, সংক্ষেপে ‘FMGE’)। কতজন ছাত্রছাত্রী সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী-র বয়ানে তা শতকরা ১০ জনের বেশি নয়। সংবাদপত্র বলছে, সংখ্যাটা ১৪ থেকে ২০ শতাংশ। বছরে ২ বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়, দশ বছর অবধি, সেই পরীক্ষার জন্য তৈরি করে দেওয়ারও এজেন্সি আছে। সেখানেও দক্ষিণা তিন লাখ অবধি। অর্থাৎ ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে
যাওয়ার জন্য যা যা মূল্য দিতে হয়, তার লিস্টটা এইরকম:
ক) ইউক্রেনের মেডিক্যাল কলেজের কোর্স ফি, থাকা-খাওয়ার খরচ, বছরে দু’বার দেশে আসা-যাওয়ার খরচ।
খ) ইউক্রেনে ডাক্তারি শিক্ষাক্রম ছ’বছরের। এক বছর ইন্টার্নশিপ ওখানে, আবার দেশে ফিরে এখানে। যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় কত বছরে পাস করা যাবে, তার কোনও স্থিরতা নেই। মনে রাখতে হবে, ভারতে কিন্তু মেডিক্যাল শিক্ষাক্রম সাড়ে চার বছরের।
গ) ভর্তির জন্য কোনও না কোনও এজেন্সিকে ধরতে হয়। তারাও সমস্ত
ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার শর্তে নিজেদের স্বার্থ বুঝে নেয়।
ঘ) ফিরে এসে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় পাস করার জন্য আবার কোচিং, আবার এজেন্সি। বিনা অর্থদণ্ডে তা হওয়ার নয়, সহজেই বোধগম্য।
ঙ) যুদ্ধ, মা-বাবার উদ্বেগ, না খেয়ে বাঙ্কারে দিনের পর দিন কাটানো, মাইলের পর মাইল হেঁটে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা, ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের হাতে নিগ্রহ, গোলাগুলো বা বোমার টুকরোর শিকার হওয়ার দুর্ভাগে্যর কথা না-ই বা তুললাম।
ইউক্রেন থেকে ডাক্তারি পড়ে যারা দেশে ফেরে, তাদের অনেকেই কিন্তু বারবার পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হতে না পেরে হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতো লাইনে সরে যায়। ডাক্তারি না-ই বা হল, ডাক্তারদের উপর
ছড়ি-ঘোরানো, তাই বা কম কী?
কেমন ‘মান’ এসব চিকিৎসকের? প্রবীণ চিকিৎসকরা খুব আশাবাদী নন। ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু এসব চিকিৎসক দেশের প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরনো অর্থমূলে্য অর্জনকারী ডিগ্রিধারীদের সঙ্গে একপাতে বসার যোগ্য- এমনটাই অভিমত প্রবীণদের। আগামী বছর থেকে যদি সত্যিই সমস্ত এমবিবিএস উত্তীর্ণকে লাইসেন্স অর্জনের জন্য ‘কমন এলিজিবিলিটি’ বা ‘সাধারণ যোগ্যতা নির্ণায়ক’ পরীক্ষায় বসতে হয়, কী যে ঘটবে তা ভাবতেই এখন থেকে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলোর কর্ণধারদের ঘুম ছুটে গিয়েছে! সেদিক থেকে বিচার করলে ইউক্রেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করে আসা ছাত্রছাত্রীদের অালাদা করে চিহ্নিত করার কোনও মানে হয় না।
শেষ করার আগে একটি অপ্রিয় প্রসঙ্গ না তুললেই নয়। প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সময় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের যখন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, শতকরা ৫০ জনই আবেগমথিত কণ্ঠে উচ্চারণ করে: আমার চিকিৎসক হওয়ার শখ- যাতে দেশের দুঃস্থ মানুষদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি।
এদেশে সমাজবিজ্ঞানীরা সমাজসমীক্ষা কতখানি করেন, জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে, এসব কৃতী ভবিষ্যতে সতি্যই যদি চিকিৎসক হন, তাঁদের কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনার ঘেরাটোপে চিকিৎসায় নিজেকে উৎসর্গ করেন? না গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থা, না চিকিৎসা শিক্ষা- এঁদের জীবনের সবচেয়ে ‘প্রোডাকটিভ’ সময় কোনওটাতেই অতিবাহিত হয় না। এঁদের অনেকেই বিদেশে চলে যান, আর ফেরেন না। যাঁরা ফেরেন, তাঁরাও কর্পোরেট হাসপাতালের নাট-বল্টুতে পরিণত হন। জনরোষ যে এঁদের প্রতি ধাবিত হয়, তার একটি কারণ এসব ডাক্তারের হিপোক্রেসি।
কিন্তু সত্যিই কি তার জন্য এসব তরুণ চিকিৎসা-শিক্ষার্থীকে দায়ী করা যায়? কোর্স কারিকুলামে কি কোথাও সামাজিক দায়বদ্ধতা শেখানোর পরিসর আছে? একজন নবীন ডাক্তারি-পড়ুয়া কোন অধ্যাপককে ‘আদর্শ’ বলে ধরবে, যিনি রোজ গলদঘর্ম হয়ে বাসে-ট্রামে হাসপাতালে পৌঁছন, না যিনি টাইয়ের রংয়ের মতো প্রতি সপ্তাহে গাড়ির রং বদলান? একজন প্রাক্তন অধ্যাপক হিসাবে এই দায় আমিও এড়িয়ে যেতে পারি না।
আর যাঁরা অর্থমূল্যে ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জন করলেন? যে মানুষ ঘুষ দিয়ে চাকরি পায়, চাকরির প্রথম দিনটি থেকে তার লক্ষ্য থাকে কীভাবে ঘুষের টাকা ওঠাবে। ডাক্তারিতেও যেন তা-ই। যে কোটি টাকা দাম দিয়ে ডাক্তার হয়েছে, তার বয়েই গিয়েছে ‘দেশ’, ‘সমাজ’, ‘দায়বদ্ধতা’ ইত্যাদি বহুচর্চিত ক্লিশে হয়ে যাওয়া শব্দগুলোর প্রতি বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করতে। মনে রাখতে হবে, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ে যাঁরা ডাক্তার হলেন, আর যাঁরা ইউক্রেন থেকে ডাক্তারি পাস করে এলেন- তাঁদের মধ্যে মূলগত ফারাক একচুলের।
(মতামত নিজস্ব)
লেখক বিশিষ্ট চিকিৎসক
taraphder@rediffmail.com