সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে গভীর রাতে ঘুরছেন এক তরুণী। দেখা নেই নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকজন বাইরে থেকে চিৎকার করছেন বেরিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করছেন না তরুণী। ভিতরের রাস্তা ধরে যেতে যেতে কখনও নহরের ধারে গাছের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছেন। আবার বেরিয়ে আসছেন। কিছু পরে নহরের ধারে গাছের আড়ালে একেবারে হারিয়ে গেলেন। দেখে ভূতুড়ে কাণ্ড মনে হতে পারে।
এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ভিডিওতে দেখা তরুণীর দেহই কি মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের নহর থেকে উদ্ধার হয়েছে, উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ভিডিওতে তরুণীকে দেখা গেলেও মেন গেটের কাছে নিরাপত্তারক্ষীদের দেখা যায়নি। তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ১২ জন নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এই কর্মীরা। অস্থায়ী উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি বিশ্বিদ্যালয়ের একাংশ। তবে কেউ কেউ অন্যমত পোষণ করছেন।
[আরও পড়ুন: কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, বালু জেলে…আমি বিশ্বাস করি না ওরা চোর: মমতা]
উপাচার্য ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে জানান, বিষয়টি তাঁদেরও নজরে এসেছে। কয়েকজন মহিলাকে নহরের দিকে দুই-তিনবার যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। একটা সময় আর বেরিয়ে আসেননি। তবে এই ভিডিও কবেকার, ওই মহিলার দেহই উদ্ধার হয়েছে কি না তা তদন্তসাপেক্ষ। একজন মহিলা ক্যাম্পাসে ঢুকলেন, দীর্ঘসময় থাকলেন-তাও কেন নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে এল না, সেটাই বিস্ময়।
ওই নিরাপত্তারক্ষীদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিরাপত্তারক্ষীরা সকলেই অস্থায়ী কর্মী। এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ওই মহিলার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও নেই। মানসিকভাবে ওই মহিলা অসুস্থ ছিলেন বলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে।