সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন লাউডস্পিকারে ভেসে আসা আজানের (Azaan) শব্দ নিয়ে। এবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সেই মন্ত্রী আনন্দস্বরূপ শুক্লা আপত্তি তুললেন মুসলিম মহিলাদের বোরখা (Burqa) পরা নিয়ে। দাবি করলেন এটা একটা ‘কুপ্রথা’। এর সঙ্গে তিনি তুলনা করলেন তিন তালাকের।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ”মুসলিম মহিলারা তিন তালাকের মতো বোরখার থেকেও মুক্ত হবেন। একটা সময় আসবে যখন তাঁরা এর থেকে মুক্ত হবেন। বহু মুসলিম দেশেই কিন্তু বোরখা পরা নিষিদ্ধ।” তাঁর মতে বোরখা ‘অমানবিক ও কুপ্রথা’। যাঁরা মুক্ত চিন্তার মানুষ তাঁরা কখনও এই ধরনের প্রথাকে সমর্থন করতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, লকডাউনের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুললেন RBI গভর্নর]
প্রসঙ্গত, জঙ্গি হামলার কারণে বোরখা, হিজাবের মতো মুখঢাকা পোশাক ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে ইউরোপের বহু দেশে। এমনকী, কোনও কোনও মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও। আসলে গত কয়েক বছর ধরে বাড়তে থাকা জঙ্গি হামলার কারণে এই ধরনের পোশাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনেক দেশই। কয়েক দিন আগে সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ হয়েছে সুইজারল্যান্ডে। রীতিমতো ভোটাভুটি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্দেশিকাতে কোথাও বোরখা কিংবা হিজাবের উল্লেখ না থাকলেও স্পষ্ট যে ওই ধরনের পোশাককে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছিল। এমনকী নিষিদ্ধকরণের প্রচারের পোস্টারেও কালো বোরখা পরিহিত একটি মেয়ের মুখই দেখা গিয়েছিল।
এদিকে আনন্দস্বরূপকে কয়েক দিন আগে লাউডস্পিকারে আজানের শব্দে কাজের অসুবিধা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। তিনি জেলাশাসককে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, মসজিদে আজানের শব্দ লাউডস্পিকারে ভেসে আসায় তাঁর অসুবিধা হচ্ছে। তিনি আরজি জানান, আজানের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ করুক আদালত। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে তাঁর মতো আর কারও যদি বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের শব্দে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই ১১২ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে খবর দেওয়া উচিত তাঁদের।