সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই ধনতেরস। আর ধনতেরস মানেই সোনার গহনা বা রুপোর বাসন কেনা। তবে এবার তার বদলে কিনতে হবে তরোয়াল। ধনতেরাসের আগে এমনটাই পরামর্শ দিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা গজরাজ রানা। তাঁর যুক্তি, আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। তাতে রায় হিন্দুদের পক্ষে গেলেও পরিস্থিতি তেতে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তিনি যোগী রাজ্যের মানুষকে আগেভাগে তৈরি হয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের বিজেপি সভাপতি রানার কথায়, “অযোধ্যা মামলায় খুব শীঘ্র রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। রায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষেই যাবে বলে নিশ্চিত আমরা। তার পরও পরিস্থিতি তেতে উঠতে পারে। তাই সোনার গহনা, রুপোর বাসনের পরিবর্তে তরোয়াল কিনে জমা করা উচিত।” অবশ্য এটাই প্রথম নয়। গজরাজ এর আগেও গন্ডগোল পাকিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে দেওবন্দের দারুল উলুম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসের সমার্থক বলে মন্তব্য করেছিলেন। এমনকী, মুসলিম ধর্মস্থান মক্কার ভিতর শিবলিঙ্গ রয়েছে বলেও একসময় বিতর্ক বাধিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি শুধুমাত্র পরামর্শ দিয়েছেন, মানুষ কী করবেন তা তাঁদের উপরই নির্ভর করছে বলে পরে সাফাই দেন গজরাজ। তাতে যদিও সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপিও জানিয়ে দিয়েছে, গজরাজের মন্তব্যে একেবারেই সমর্থন নেই তাদের।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই শেষ হয় অযোধ্যা মামলার শুনানি। টানা ৪০দিন শুনানির ওর আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রায়দান হতে পারে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। আরও এক অধ্যায় সংযোজিত হয় অযোধ্যার ইতিহাসে। এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। বিতর্কিত কাঠামোকে তিন ভাগে বিভক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এক ভাগ পায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি দুই ভাগ দেওয়া হয় নির্মোহী আখাড়া এবং রাম লালা কমিটিকে। কাঠামোর কর্তৃত্ব যায় হিন্দুদের দখলে। মুসলিমদের হয়ে এক আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
[আরও পড়ুন: ব্যাংক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘট, ভোগান্তির আশঙ্কা গ্রাহকদের]
The post লক্ষ্য অযোধ্যা, ধনতেরসে তলোয়ার কেনার নিদান বিজেপি নেতার appeared first on Sangbad Pratidin.