সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্পনসর সংস্থা বাইজুসের কাছ থেকে বিরাট অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে বিসিসিআইয়ের। বৃহস্পতিবার বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পরেই এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অন্যদিকে, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের টাইটেল স্পনসরশিপও পালটে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে ভারতীয় দলের স্পনসর হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বাইজুস। কিছুদিন আগেই সেই চুক্তির মেয়াদ ফের বাড়ানো হয়েছে।
বিসিসিআই (BCCI) সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৮৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বাইজুসের কাছে। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বাইজুস। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি বাড়ানোর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও চুক্তিপত্রে সই করা হয়নি। সমস্ত নিয়ম মেনে সই করার পরেই সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। টাকা বকেয়া রয়েছে, এই কথা এখনই বলার সময় আসেনি।” প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাইজুস (Byjus)। ফলে বেশ কিছু কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে অনলাইন শিক্ষার এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
[আরও পড়ুন: কেরলে সন্ধান মিলল মারাত্মক সংক্রামক আফ্রিকার সোয়াইন জ্বরের, নেই প্রতিষেধক]
গত বছরেই টপর (Toppr) এবং হোয়াইট হ্যাট জুনিয়র (White Hat Junior)-এই দুই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মকে কিনে নিয়েছিল বাইজুস। সেই দুই জায়গা থেকেই মোট ছ’শো কর্মীকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেবল সেলস ও মার্কেটিং দপ্তরের কর্মীরা রেহাই পেয়েছেন। বাদ দেওয়া হয়েছে মূলত শিক্ষকদের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অনেকেই বিদেশেও কাজ করেছেন। তবে এতেই শেষ নয়। আরও কর্মীদের ছাঁটাই করা হতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতেও কাতার বিশ্বকাপের স্পনসর হয়েছে বাইজুস।
অন্যদিকে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের টাইটেল স্পনসর হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল পেটিএম। কিন্ত প্রতিবছর সেই চুক্তি রিনিউ করা হয়। চলতি বছরের জুলাই মাস প্রায় শেষ হতে চললেও নবীকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি পেটিএম (Paytm)। শোনা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডকে টাইটেল স্পনসর হিসাবে ভাবা যেতে পারে। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকতে আগ্রহী পেটিএম। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দীর্ঘদিনের পার্টনারশিপের কথা মাথায় রেখে নিয়মে কিছুটা ছাড় দেওয়া হতে পারে পেটিএমকে।