স্টাফ রিপোর্টার: দুই জাতীয় দলের ক্রিকেটার। এবং তাঁদের নিয়ে দুই নীতি সিএবির (CAB)। দিন কয়েক আগে সংবাদ প্রতিদিন—এ প্রকাশিত হয়েছিল যে, আসন্ন রনজি নকআউট পর্বে খেলার জন্য বাংলার দুই জাতীয় দলের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) এবং মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) সঙ্গে যোগাযোগ করবে সিএবি। তাঁদের খেলানোর চেষ্টা করা হবে। সিএবি কর্তারাই সেটা বলেছিলেন। কিন্তু আদতে দেখা গেল, সোমবার দল নির্বাচনের আগে শামির সঙ্গে কথা বলল সিএবি। তাঁকে শর্তসাপেক্ষে (বোর্ড যদি ছাড়ে) টিমে রেখেও দেওয়া হল। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কথাই বলা হল না। সোজা টিমে রেখে দেওয়া হল। অন্তত ঋদ্ধির পরিবার সূত্রে অভিযোগ যে, তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়নি।
এখানে বলে রাখা ভাল, মাস কয়েক আগে ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পরোক্ষে লেগে গিয়েছিল সিএবির। রনজির গ্রুপ পর্বে না খেলা নিয়ে। ঋদ্ধি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য খেলতে পারবেন না। কিন্তু সেটা না বলে ঋদ্ধির না খেলাটাকে বড় করে দেখানো হয়। বাংলা ক্রিকেটের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। আর এবার ঋদ্ধির সঙ্গে কথা না বলেই তাঁকে টিমে রেখে দেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: মহিলা টি-২০ চ্যালেঞ্জের দল ঘোষণা করল BCCI, কোনও দলেই জায়গা হল না ঝুলন-মিতালির]
পুরো ব্যাপারটা নিয়ে রাতে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বললেন, “ঋদ্ধিমানকে বাদ দেওয়া হয়নি। ও আমার কাছে এসে বলেছিল যে ব্যক্তিগত কারণে গ্রুপ পর্ব খেলতে পারবে না। তাই টিমে তখন রাখা হয়নি। কিন্তু নকআউটে যে খেলবে না, সেটা বলেনি। তাই আমরা ওকে টিমে রেখেছি। ঋদ্ধি কেন, শামি ছাড়া কারও সঙ্গেই তো আমরা আগাম কথা বলিনি। শামির ক্ষেত্রে যেহেতু ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার আছে, তাই ওর সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু ঋদ্ধির ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।”
যার পর দু’টো প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় ক্রিকেট মহলে। এক, ঋদ্ধি গত দু’মাস ধরে জৈব বলয়ে রয়েছেন। তাঁকে রনজি খেলতে হলে ফের জৈব বলয়ে ঢুকতে হবে। সিএবি জানতে চেয়েছে, তিনি সেটা করতে আদৌ তৈরি কি না? কারণ, জৈব বলয়ের জীবন যে কী অসহনীয়, সবাই জানে। দুই, শামিকে যদি ফোন করা যায়, তাহলে ঋদ্ধিকে ফোন করলে কী ক্ষতি হত? শামির মতো ঋদ্ধিও বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। তাঁরও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হয়েছে। চেতেশ্বর পুজারার মতো ঋদ্ধিরও টেস্ট দলের প্রত্যাবর্তনের সুযোগ নেই, সেটা কে বলল? সরকারিভাবে কোথাও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়নি যে ঋদ্ধির টেস্ট কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। বরং ময়দানে বলাবলি চলছে, ঋদ্ধির উপর এটা সিএবির পাল্টা চাপের স্ট্র্যাটেজি নয় তো?