সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরেক দফা স্পেকট্রাম নিলামের (Spectrum auction) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে টেলি যোগাযোগ দপ্তরের স্পেকট্রাম নিলামে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নিলামের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক মোবাইল সংস্থাগুলির জন্য স্পেকট্রাম বণ্টন করা হবে। নিলামে সফল সংস্থাগুলিই এই দায়িত্ব পাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে এদিন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) জানিয়েছেন, “চলতি মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে এবং আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই এই সমস্ত স্পেকট্রামের নিলাম সেরে ফেলা হবে।”
স্পেকট্রামের নিলাম যে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে হবে, জোরের সঙ্গে এই দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। অতীতে কংগ্রেস সরকারের আমলে স্পেকট্রাম বণ্টনকে কেন্দ্র করে যে আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছিল, তা দেশের মানুষের জানা। সেই আবহে স্বচ্ছতার দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত দেশের টেলিকম ক্ষেত্রকে আরও চাঙ্গা করে তুলবে বলেই দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় সমিতির বৈঠক থেকে ওয়াক আউট রাহুল গান্ধীর]
এ প্রসঙ্গে জাভড়েকর বলেছেন, “যথেষ্ট পরিমাণে স্পেকট্রামের ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় গ্রাহকরা উন্নতমানের টেলিকম পরিষেবার সুযোগ পাবেন। টেলিকম ক্ষেত্র বর্তমানে দেশের আর্থিক বিকাশ, প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিস্তারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই সিদ্ধান্তের ফলে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
স্পেকট্রাম প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০ বছরের মেয়াদে স্পেকট্রামগুলি বণ্টন করা হবে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৯২,৩৩২.৭ কোটি টাকা। নিলামে সফল সংস্থাগুলি তাদের নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে এবং নতুন সংস্থাগুলি টেলি যোগাযোগ ক্ষেত্রে পরিষেবা শুরু করতে পারবে। এই নিলামে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলিকে ব্লকের আকারের ওপর বিবেচনা করে বিভিন্ন শর্ত পালন করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে তারা সর্বোচ্চ কতটা স্পেকট্রাম ব্যবহার করতে পারবে তা নির্ধারিত হবে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, তবুও সুরা পানে মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে দিল নীতীশের বিহার]
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এদিন আখ চাষিদের জন্যও সুখবর দিয়েছে। চিনি রফতানির ক্ষেত্রে ৩,৫০০ কোটি টাকার ভরতুকি মঞ্জুর করা হয়েছে। ৬ হাজার টাকা প্রতি টনের হিসাবে ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানি করা হবে। রফতানির টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ৫ কোটি চাষি ও ৫ লক্ষ শ্রমিক লাভবান হবে বলে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে।