অর্ক দে, বর্ধমান: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন। তার পরই ‘বড়দিন’। আর ক্রিসমাস (Christmass) মানেই নানা স্বাদের কেক। বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির কেকের (Cakes)সঙ্গে স্থানীয় বেকারিগুলিও পাল্লা দিয়ে কেক তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের কেকের সঙ্গে বাজারে এখন মিলছে নলেন গুড়ের কেকও। শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন তো কেকে আবার কীভাবে নলেন গুড়ের স্বাদ? কিন্তু বর্ধমানের বাজারে এই নলেন গুড়ের কেকই হট, চাহিদার তুঙ্গে।
বড়দিনের আগে বর্ধমানের বেকারিগুলিতে কেক তৈরির কাজ এখন জোরকদমে চলছে। বর্ধমানের (Burdwan) একটি কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার জানান, ”করোনার কারণে অন্যান্য ব্যবসায় মন্দা দেখা গেলেও কেকের চাহিদায় কোনও ভাঁটা পড়েনি। বছরের শেষের দিকে বড়দিনে আনন্দ উপভোগ করতে কেকের চাহিদা বাড়ে। বিভিন্ন স্বাদের কেক তৈরি করা হয় এই সময়। ফ্রুট কেক, পাম কেক, চকোলেট কেক, ভ্যানিলা কেকের সঙ্গে এগলেস কেকের চাহিদা দেখা যায়। তবে গত বছরে পরীক্ষামূলকভাবে খেজুর গুড়ের স্বাদের কেক তৈরি করা হয়েছিল। বাজারে এই কেকের ভালই সাড়া মিলেছে। অনেকেই এই নতুন স্বাদের কেক পছন্দ করেছেন। তাই এবারের খেজুর গুড়ের কেক তৈরিতে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ঘরে তৈরি গুড়ে লক্ষ্মীলাভ, ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ মেলায় বরাত ফিরল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের]
স্থানীয় এক কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক শেখ শামিম বলেন, “গত বছরের লকডাউনের পরেও কেকের চাহিদা সেইভাবে কমেনি। এবছরের ভাল বাজারের আশা করছি আমরা। এখন পর্যন্ত বর্ধমান শহরের বাজারে কেকের ভালই চাহিদা রয়েছে। তবে গ্রামের দিকগুলিতে চাহিদা অনেক কম। যেহেতু আমাদের জেলায় কৃষিনির্ভর অর্থনীতি। তাই এবারে ধান ভাল না হওয়ায় কেকের চাহিদার উপর কী প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ২৪ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের কেক প্রস্তুত করি। তবে, গত বছর থেকে নলেন গুড়ের কেক তৈরি করেছি। ভাল চাহিদা থাকায় এবারে বেশি পরিমাণে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এবারে গুড়ের উৎপাদন ভাল হয়েছে। ফলে কেকের স্বাদও ভাল হবে বলেই আশা করছি। এক্কেবারে ঘরোয়া একটি উপকরণ খেজুর গুড়ের তৈরি কেক সকলের মন কাড়বে বলেই মনে করছি।”