স্টাফ রিপোর্টার: সিনিয়র দল খেলছে অনুশীলন ম্যাচ। আর রিজার্ভ দল নামছে কলকাতা লিগে। মহালয়ার দিন এমনই ব্যস্ততা ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। এদিন সকালেই স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) অনুশীলন ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-২০ দলকে। একটি করে গোল করেছেন সুমিত পাসি এবং ক্লেইটন সিলভা।
এদিকে এই একই দিনে কলকাতা লিগে খিদিরপুরের বিপক্ষে নামছে ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। কলকাতা লিগে (Calcutta Football League) বাজিমাত করবে এই রিজার্ভ দলই। অভিযান শুরুর আগে দাবি করেছেন সহকারী কোচ বিনো জর্জ। রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে লিগের সুপার সিক্স (CFL Super Six) পর্বে খিদিরপুর এফসির বিরুদ্ধে নামবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। রিজার্ভ দলের ওই ফুটবলাররা মূলত সহকারী কোচ বিনোর অধীনে অনুশীলন করছেন। যদিও ফুটবলারদের মধ্যে এমন কোনও ভাগ নেই বলে জানিয়েছেন বিনো। তিনি বলেন, “দলে রিজার্ভ স্কোয়াড বা প্রথম দল বলে কোনও বিভেদ নেই। এই ছেলেরাও ভাল ফুটবলার। ওরা ভাল খেলবে বলে আমি আশাবাদী।” প্রতিপক্ষ খিদিরপুর নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “খিদিরপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে আমরা ভালভাবে প্রস্তুতি সেরেছি। তিন সপ্তাহ দল অনুশীলন করছে। ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব। ফুটবলাররাও সেটা জানে। ওরাই আমাদের চ্যাম্পিয়ন করবে।”
[আরও পড়ুন: ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে কলকাতা লিগ থেকে নাম তুলল মোহনবাগান, বিপাকে আইএফএ]
বিনো তিন সপ্তাহ অনুশীলনের কথা বললেও মাঝে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিসে নামেননি ফুটবলাররা। দিন চারেক আগে ফের মাঠে ফেরেন তাঁরা। দলে আছেন মহিতোষ রায়, নিরঞ্জন মণ্ডল, শুভম ভৌমিক, বিষ্ণু টিএম, অতুল উন্নিকৃষ্ণণরা। সিনিয়র দল থেকে নবি হুসেন খানকেও লিগের ১৯ জনের দলে রাখা হয়েছে। শনিবারই কেরলের সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) জয়ের নায়ক জেসিন টিকের নাম ঘোষণা করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তিনি অবশ্য কয়েকদিন ধরেই বিনোর অধীনে অনুশীলন করছেন। বিনোর কথায়, “জেসিন সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ গোলদাতা। ভাল প্লেয়ার। দলের সকলেই ফিট আছে।” খিদিরপুরের ফুটবলাররা লিগে দশ ম্যাচ খেললেও লাল-হলুদের রিজার্ভ স্কোয়াড একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেনি। বিনোর আশ্বাস, এই ফুটবলাররাই জেতাবেন দলকে।
[আরও পড়ুন: গোল হজম করেই দ্রুত শোধ, সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করল স্টিমাচের ভারত ]
অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়নের তকমা ধরে রাখা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। কল্যাণীতে এরিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে মহামেডান নামছে পুরো দল নিয়েই। কোচ চেরনিশভের কথায়, “আমাদের একটাই দল। অনুশীলনে কে কেমন খেলল, তার ভিত্তিতে প্রথম একাদশ ঠিক করি। লিগের সব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেরা দলই নামাব।” গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোচের কথায়, “ডুরান্ড কাপে ভাল খেলেছি। ফলে প্রতিপক্ষ আমাদের শক্তি সম্পর্কে জানে। আমরাও ডুরান্ডের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাই।” এই ম্যাচে মাঝমাঠের দুই ভরসাকে পাবেন না চেরনিশভ। মেয়ে হওয়ায় দেশে ফিরেছেন নুরউদ্দিন ডাভরোনভ। চোট সারিয়ে ফিরলেও খেলার মতো জায়গায় নেই মিলন সিং। ডুরান্ডের মতো লিগেও মহামেডানের প্রধান ভরসা মার্কাস জোসেফ। এবছর গোল করার থেকে করানোর দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন তিনি। তবে লিগে এবারও সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াই লক্ষ্য তাঁর। মার্কাসের কথায়, “ডুরান্ডে আমি অনেক সুযোগ পেয়েছি। লিগেও পাব। সেগুলি কাজে লাগাতে চাই।”