মোহনবাগান: ৮ (সেরতো ২, আদিল, রবি, সালাহউদ্দিন ২, উত্তম, তপন)
রেলওয়ে: ১ (রাহুল)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগে এবার মোহনবাগানের জার্নি অনেকটা রোলারকোস্টারের মতো। একাধিক ম্যাচে ড্র, হার যেমন ছিল, আবার কখনও পর পর ৫ গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষকে। তাতেও সুপার সিক্সে ওঠা নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না সবুজ-মেরুন ভক্তরা। এদিন রেলওয়ের বিরুদ্ধেও শুরুতেই গোল হজম করায় উদ্বেগ বেড়েছিল। কিন্তু সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে ৮-১ ব্যবধানে জিতল মোহনবাগান।
ডেগি কার্ডোজোর কাছে কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না। সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য এই ম্যাচ জিততেই হত মোহনবাগানকে। তারা শুধু জিতল বললে কম বলা হবে, রেলওয়েকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল। এদিন ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিলেন রাজ বাসফোররা। সুমিত রাঠির ভুল থেকে বল পেয়ে রেলওয়েকে এগিয়ে দেন রাহুল হালদার। ম্যাচের ৬ মিনিটে এই ধাক্কা সামলেও দুরন্ত কামব্যাক করে সবুজ-মেরুন শিবির। যার সূত্রপাত হয় ২১ মিনিটে। রাজ বাসফোরের ক্রস থেকে মোহনবাগানের হয়ে সমতা ফেরান সেরতো।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়, বন্যা দুর্গতদের ম্যাচ সেরার অর্থদান মুশফিকুরের]
দুমিনিটের মধ্যে ফের আঘাত। এবার গোল করলেন আদিল আবদুল্লা। এবারও নেপথ্যে ছিলেন রাজ। ফের তাঁর বিষাক্ত ক্রস গিয়ে পড়ে রেলওয়ের বক্সে। ভিড়ের মধ্যে থেকে ছিটকে গিয়ে গোল করেন আদিল। তার পর ধারাবাহিক আক্রমণ এবং গোলের বন্যা। ৩১ মিনিটে গোল পেলেন রবি রানা। তাঁর ক্রস রেলওয়ে ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন সেরতো। আর ৩৮ মিনিট ও প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে জোড়া গোল করেন সালাহ। ডান দিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি। দ্বিতীয় গোলটির সময় বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে পা ছুঁইয়ে দেন সালাহ।
[আরও পড়ুন: ‘আমার কাজ সহজ করে দিয়েছ’, শিখরকে বার্তা রোহিতের, ‘গব্বরে’র চেনা হাসি মিস করবেন বিরাটও]
প্রথমার্ধে ৬ গোলে এগিয়ে থাকায় ম্যাচটা ওখানেই শেষ হয়ে যায়। অপেক্ষা ছিল আর কত গোল দিতে পারে মোহনবাগান। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুটি গোল এল। ৭৫ মিনিটে হ্যাটট্রিকের অ্যাসিস্ট করেন রাজ। তাঁর ক্রস থেকে হেড দিয়ে গোল করেন উত্তম হাঁসদা। শেষ গোলটি এল ৮৮ মিনিটে। রেলওয়ের গোলকিপার ফ্লাইট মিস করলে জায়গায় ছিলেন তপন হালদার। ফাঁকা গোলে বল জড়াতে কোনও ভুলই করেননি তিনি। সব মিলিয়ে ৮-১ গোলে জিতল মোহনবাগান। বাঁচিয়ে রাখল সুপার সিক্সের আশা। এই খেলার পর ফের স্বপ্ন দেখা শুরু করতেই পারেন সবুজ-মেরুন ভক্তরা।