গোবিন্দ রায়: ফের কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরবর্তী প্রক্রিয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
হস্তক্ষেপ না করলেও বিচারপতি সিনহার নির্দেশের সমালোচনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সৌমেন সেনের পর্যবেক্ষণ, “বিচারপতি তীর্থঙ্কর এজলাসে মামলাটি চলছে। তা সত্ত্বেও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এই নির্দেশ দেওয়া ঠিক হয়নি। এটা বিচারবিভাগীয় আচরণের ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। মারাত্মক প্রবণতা। আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের অধিকার রয়েছে। তাই তিনি চাইলে নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন।”
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
এদিকে, এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রসঙ্গ তোলে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সওয়াল, “আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্ত বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের আধিকারিকদের উপর হামলা হচ্ছে। আবার তাঁদের বিরুদ্ধে FIR-ও হচ্ছে।” উল্লেখ্য, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ইডির।