শুভঙ্কর বসু: রেলবোর্ড প্রতারণা মামলায় মুকুল রায়ের রক্ষাকবচ বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রতারণা মামলায় বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়াল আদালত। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল স্থগিতাদেশের সময়সীমা। ততদিন পর্যন্ত কোনওভাবেই গ্রেপ্তার করা যাবে না মুকুল রায়কে।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় ধুন্ধুমার, শুভেন্দু অধিকারীকে মারতে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক]
এর আগের শুনানিতে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাই কোর্ট। আজ, শুক্রবার শুনানির পর ফের বাড়ে মেয়াদ। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি হবে বিচারপতি সইদুল্লাহ মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে। তবে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায়কে। তাঁকে ডেকে পাঠানোর ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে হাই কোর্ট।
দীর্ঘদিন আগেই রেলে চাকরি ও কমিটিতে জায়গা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় মোটা অংকের টাকা তোলার অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে মুকুল রায় যখন তৃণমূল নেতা হিসাবে রাজ্যসভার সদস্য হন, সেই সময় নিজাম প্যালেসে বেহালার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানেই আরও তিনজনের সঙ্গে ব্যবসায়ীর পরিচয় করিয়ে দেন মুকুল রায়।
[আরও পড়ুন: ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন মহুয়া! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ক্ষুব্ধ বিধায়কের]
এরপর রেলে চাকরি ও কমিটিতে জায়গা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যবসায়ীর থেকে দফায় দফায় প্রচুর টাকা নেন বিজেপি নেতা। প্রমাণস্বরূপ মন্ত্রী ও সাংসদের লেটার হেডে কিছু কাগজপত্রও দেওয়া হয় ব্যবসায়ীকে। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখেননি বিজেপি নেতা। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি ব্যবসায়ীর।
দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চাকরি না মেলায় সন্দেহ হওয়ায় রেলদপ্তরে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানান ওই ব্যবসায়ী। তিনি জানতে পারেন, লেটারহেডে তাঁকে দেওয়া সমস্ত নথি ভুয়ো। এরপরই থানার দ্বারস্থ হন তিনি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ ও সাদ্দাম আলি নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মামলা শুরুর পর আগাম জামিনের জন্য আগেভাগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল রায়।
[আরও পড়ুন: জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা! রাজ্যজুড়ে মোদিকে নিয়ে প্রদর্শনী করবে বিজেপি]
The post প্রতারণা মামলায় মুকুলের ‘রক্ষাকবচ’ বাড়াল হাই কোর্ট, গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ appeared first on Sangbad Pratidin.