শুভঙ্কর বসু: রাজ্যের স্কুলগুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী (SSC Group D) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত তদন্ত চালাচ্ছে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি। সেই তদন্ত শেষ করতে সোমবার আরও সময় চাইল কমিটি।
প্রাথমিকভাবে দু’মাসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত শেষ করে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এদিন তদন্ত শেষ করতে আদালতের কাছে আরও অন্তত চার মাস সময় চেয়েছে কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, মামলায় অনেককে ডেকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করতে হচ্ছে। কোভিডের কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তাই বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য আরও চার মাস সময় প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম আয় মোটে ২৫ টাকা, কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর?]
তবে অতিরিক্ত ওই সময় দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, অতিরিক্ত আরও চার মাস সময় দেওয়া যাবে না। দু’মাস সময় দেওয়া যেতে পারে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে প্রাথমিক তদন্তভার বা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনার তদন্তের জন্য প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে রাজ্য। সেই নিয়োগে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত গত ২৩ নভেম্বর সেইসমস্ত অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।