সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমিজট মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। উচ্ছেদের নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, বীরভূমের জেলা জজ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অশান্তি চলছে। জল আগেই গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। সম্প্রতি বিশ্বভারতী উচ্ছেদ নোটিস পাঠায় অমর্ত্য সেনকে। ৬ মে জমি খালি করার শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সেখানে। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বল প্রয়োগ করবে এমন হুঁশিয়ারিও দেয়। তার পালটা বীরভূমের জেলা জজ আদালতের দ্বারস্থ হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ মে।
[আরও পড়ুন: দ্রুত শুনানি চেয়েছিল রাজ্য, শুভেন্দুর জোড়া মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি মান্থা]
তাই উচ্ছেদে স্থগিতাদেশের আরজি জানিয়ে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে উচ্ছেদের নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। বীরভূমের জেলা জজ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, উচ্ছেদের বিরোধিতায় ধরনার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশ সুপার এবং মহকুমাশাসককে চিঠি দেয়। পুলিশ অনুমতি দিলে কিছু করার নেই বলেই সাফ জানান মহকুমাশাসক।