গোবিন্দ রায়: এজলাসে বসে একাধিকবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর মুখেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা। বললেন, ” সরকারের ভূমিকা যদি সঠিক থাকে, তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করব।”
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই পর্ষদ ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, “শিক্ষা পর্ষদ যদি ভাল কাজ করে তার প্রশংসা আমি করবই। আবার সরকারের যদি ভূমিকা সঠিক থাকে সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করব।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আবার যদি দেখি শিক্ষা পর্ষদ কোনও ভুল কাজ করছে, তবে তার সমালোচনাও আমি করব। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই।”
[আরও পড়ুন: বৈঠকে লোকই আসে না, বনশলের সামনেই পদ্ম সংগঠনের দুর্দশা স্বীকার নেতাদের]
উল্লেখ্য, এর আগেও পর্ষদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২২ সালের গোটা টেটের প্রক্রিয়া মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “টেট হওয়ার পর কপি দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কাজ ভাল হচ্ছে।” এদিন ফের পর্ষদের প্রশংসাও শোনা গেল বিচারপতির গলায়।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচবছর টেট পরীক্ষা হয়নি। তার মাঝে লাগাতার বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টেট উত্তীর্ণদের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ তো রয়েছেই। দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েই গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, প্রতিবছর টেট হবে। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই ১১ ডিসেম্বর টেট হবে বলে ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। তবে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা নেওয়াই ছিল চ্যালেঞ্জ। তাই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে চালু করা হয় কন্ট্রোল রুমও। ওএমআর শিটের কপি দেওয়া হয়েছে।