সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টে অস্বস্তি বাড়ল ববিতা সরকারের। মন্ত্রী পরেশ অধিকারী কন্যা অঙ্কিতার থেকে পাওয়া তাঁর ৪৩ মাসের মাইনের ১৫ লক্ষ টাকা ববিতাকে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলায় হেরে গেলে সমস্ত অর্থ ফিরিয়ে দিতে হবে তাঁকে।
বহু যুদ্ধ করে পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরিটি পেয়েছিলেন মেখলিগঞ্জের ববিতা সরকার। মেখলিগঞ্জের ইন্দিরাদেবী বালিকা বিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোরে (Academic score) ২ নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ‘ভুলে’র জন্য ববিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ভুল না হলে অঙ্কিতার হারানো চাকরি পেতেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। সম্প্রতি ববিতার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামেন ওই চাকরি প্রার্থী। বৃহস্পতিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ছিল ওই মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, এপর্যন্ত চাকরি গেল ২৫২ প্রাথমিক শিক্ষকের]
শুনানিতে ববিতা সরকারের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “এটা তৈরি করা গল্প। ববিতা যখন চাকরি পাবার আবেদন করে তখন অনামিকাদেবী নিজের নম্বরের কথা জানায়নি কেন? ববিতা চাকরি পাওয়ার সময়ও অনামিকাকে দিয়ে সই করানো হয়। এখন অস্বীকার করছেন। আদালতের কাছে লুকোনোর কিছু নেই। আমি যেখানে সমস্যা দেখেছি তখনই আদলতে জানিয়েছি। এর থেকে প্রমাণিত যে অনামিকা সাজানো গল্প বলছে। প্রয়োজনে তদন্ত হোক।” এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “আপনি যেটা অনামিকার সই বলছেন, আমি তো দেখছি না ওটা অনামিকার সই।” পর্ষদ আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য আরজি জানান সিবিআই তদন্তের।
সমস্তটা শোনার পর প্রথমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে অঙ্কিতা অধিকারীর কাছ থেকে যে টাকা পেয়েছিলেন সেই টাকা ড্রাফট করে কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা করতে হবে ববিতাকে। পরবর্তীতে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রেজিস্টার জেনারেলের কাছে টাকা রাখতে হবে না। আলাদা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে সেখানেই সমস্ত টাকাটা গচ্ছিত রাখবেন ববিতা। তিনি মামলায় হেরে গেলে ফিরিয়ে দিতে হবে সমস্ত টাকা।