নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে বেলাগাম হিংসার ঘটনায় ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শনিবার রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। সেখানেই প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানিয়ে দিলেন, 'এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পরিস্থিতি।' পাশাপাশি জানানো হয়েছে, প্রশাসন গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে। ইতিমধ্যেই ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদ। প্রথমে জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকলেও শুক্রবার বিকেল থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে জনতা। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। তাতে অবস্থা আরও বিগড়ে যায়। সরকারি-বেসরকারি বাস, অ্যাম্বুল্যান্স জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিএসএফ নামানো হয় এলাকায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চরম উত্তেজনার মাঝেই শনিবার গোটা বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে রাজ্যের তরফে মুর্শিদাবাদের গোটা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় কেন্দ্রের কাছে। ডিজি রাজীব কুমার জানান, এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পরিস্থিতি। নতুন করে যাতে হিংসা না ছড়ায় তার জন্য প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। এছাড়া ১৫০ জনের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র সচিবের তরফে জানানো হয়, ৩০০ বিএসএফ জওয়ান ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের অনুরোধে আরও ৫ কোম্পানি জওয়ান পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, মুর্শিদাবাদ তো বটেই রাজ্যের বাকি স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কড়া নজরদারি চালানোর জন্য। কোনও রকম অশান্তির আভাষ পেলে যে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেন্দ্র গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। যদি কোনও রকম সাহায্যের দরকার হয় কেন্দ্র সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে।