গোবিন্দ রায়: এবার সন্দেশখালির জমি জবরদখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার সম্পর্কিত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই তদন্তের রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন সেই মামলাগুলির একত্রে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে। সেখানেই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআইকে বলা হয়েছে, নতুন ইমেল আইডি চালু করে সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগ নিতে হবে। সবপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ইমেল আইডির মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে হবে। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপনের জন্যই এই ব্যবস্থা বলে আদালত সূত্রে খবর। ইমেল আইডিটি এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। এছাড়াও এলাকায় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র মারফতও জানাতে হবে আইডিটি। অভিযোগ পাওয়ার পর কোর্টের নজরদারিতে চলবে তদন্ত।
[আরও পড়ুন: ইদ উপলক্ষে পরিষেবায় কাটছাঁট, কমছে মেট্রোর সংখ্যা, জেনে নিন সময়সূচি]
এই শুনানিতে আদালত আরও কিছু নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশগুলি হল-
- সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি বসাতে হবে।
- উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবে।
- রাস্তায় বসাতে হবে এলইডি আলো।
- সিসিটিভি এবং এলইডি আলোর খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
- আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও খরচ দিতে হবে।
- নির্যাতিত, ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারবে সিবিআই।
- তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনও আধিকারিককে তলব করতে পারবে সিবিআই।
- তদন্তে সমস্তরকম সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে।