সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু। পাশের ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার দুই পুত্রসন্তান। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরের ব্যাতাইতলা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনার জন্য জড়িত, মোটিভই বা কী, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় রুবি ঝাঁ তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। রাতে কাজ সেরে হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিক প্রদীপ ঝাঁ বাড়ি ফেরেন। তিনি দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করেন। প্রথমে ভেবেছিলেন শীতের রাতে হয়তো স্ত্রী, সন্তান ঘুমিয়ে পড়েছেন। তবে কিছুটা সময় কেটে যাওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। থানায় খবর দেন। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় দ্বিতীয় দফায় ডাকাডাকি। তবে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
তাই বাধ্য হয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলা হয়। ভিতরে ঢুকে তাজ্জব হয়ে যান সকলে। তাঁরা দেখেন, একটি ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন রুবি। পাশের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুই ছেলে। তাঁদের উদ্ধার করা হয়। দুই ছেলেকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলার বড় ছেলেকে মৃত বলেন জানান চিকিৎসকরা। ছোট ছেলে এখনও চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ওই মহিলা সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হতে পারেন। আবার খুনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ।