গোবিন্দ রায়: একটি খুনের মামলায় বিচার চাইতে এসে অন্য একটি খুনের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ। ঘটনায় নদিয়ার মুরুটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। একইসঙ্গে, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
অভিযোগ গুরুতর, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মতো অভিযোগ। আর সেই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আরও বড় অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়েই মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী নীলাদ্রি শেখর ঘোষ ও আইনজীবী দেবর্ষি ব্রহ্ম জানান, গত ২৬ আগস্ট গভীর রাতে মুরুটিয়া থানার পুলিশ ১০ বছর আগের মাদক মামলায় অভিযুক্ত মোহন মণ্ডলের ভাই শওকত মণ্ডলকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। পর দিন ভোরে একটি বাঁশ বাগানে শওকতের দেহ পাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতে সিঁধ কেটেছিলেন ‘ডাকাত’ বউ! আগরপাড়া ডাকাতিতে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দ্বারস্থ হন দাদা মোহন। কিন্তু লাভ হয়নি। পরে পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে মামলা করেন মৃত সওকতের স্ত্রী মঞ্জুরা বিবি। সেদিন রাতেই মৃতের দাদা মোহন মণ্ডল-সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওপর একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। যার প্রেক্ষিতে আগাম জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এদিন সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।