গোবিন্দ রায়: রয়েছে একাধিক সংশয়। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপি কর্মী দীনবন্ধু মিদ্যার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই মুহূর্তে কমান্ড হাসপাতালে কোনও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নেই। তাই সেখানে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন দীনবন্ধু মিদ্যা নামে ওই বিজেপি কর্মী। পরের দিন পানের বরোজ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, দীনবন্ধু আত্মহত্যা করেনি। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: ‘হঠাৎ করে ভোটের হার বেড়ে গেল, ১৯ লক্ষ ইভিএম মিসিং’, বিস্ফোরক মমতা]
বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে মামলার শুনানি হয়। বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন খোদ বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, "কোনও চেয়ার বা অন্য কিছুর সাহায্য ছাড়া কী করে বেশ কিছুটা উঁচু জায়গায় উঠে গলায় ফাঁস লাগলেন মৃত ব্যক্তি?" যদিও পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে এক মহিলার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। যিনি জানিয়েছেন, দীনবন্ধু বিবাহিত। এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করতেন। আর সেই জটিলতার ফলে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবদিক খতিয়ে দেখে বিচারপতি দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার সময় ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের নজরদারিতেই চলবে তদন্ত। আগামী ৭ মে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে পুলিশকে।