শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক (Primary teachers) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা কাটল। ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজ্যের দুই জেলায় শূন্যপদ না থাকলেও তা তৈরি করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ এই নির্দেশই দিল। আদালতের এই রায়ে স্বস্তিতে কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী।
২০০৯ সালে বাম আমলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই নিয়োগের নিয়ম ছিল বিজ্ঞপ্তিতে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে নিয়োগ সম্পন্ন হলেও চার জেলায় জটিলতা দেখা দেয়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ থমকে যায়। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬০০ এবং মালদহে ১৩৩১টি শূন্যপদ ছিল। কয়েক বছর ধরে অপেক্ষার পর দুই জেলার চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে মামলার শুনানি চলছিল। শুক্রবার তারই রায়দান করলেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে’, ফের তোপ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র]
রায়ে জানানো হয়েছে, দুই জেলা – উত্তর ২৪ পরগনা এবং মালদহে নিয়োগ প্যানেল থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এদিন জানান, এই দুই জেলায় যদি প্রাথমিক স্তরে শূন্যপদ নাও থাকে, তাহলে নতুন করে তা তৈরি করতে হবে। তারপর প্যানেল লিস্ট থেকে প্রার্থীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন নিয়োগপত্র না পেয়ে চাকরিপ্রার্থীরা প্রতিবাদ, বিক্ষোভে নেমেছিলেন। লাগাতার নিজেদের দাবিপূরণে নানা আন্দোলন চলছিল। শুক্রবার হাই কোর্টের রায়ে তাঁদের স্বস্তি ফিরে এল। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন প্রাথমিকের ভাবী শিক্ষকরা।