shono
Advertisement

কাঁথি পুর এলাকায় জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ! ভাঙার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।
Published By: Paramita PaulPosted: 04:41 PM May 12, 2024Updated: 04:42 PM May 12, 2024

গোবিন্দ রায়: জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।

Advertisement

মামলাকারী অমিতাভ পারিয়ারীর অভিযোগ, তাঁর প্রায় ৯ কাঠা জমির অধিকাংশই দখল করে সেখানে বেআইনি নির্মাণ বানিয়ে ব্যবসা করে চলেছে। এবিষয় স্থানীয় কাউন্সিলর সঞ্চিতা জানাকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা পাননি। চোখের সামনে নিজের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে দেখে কাঁথি পুরসভাতেও অভিযোগ জানান তিনি। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে পুরসভা থেকে পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: বিধায়কের সামনে রাস্তায় ফেলে তৃণমূল কর্মীকে লাঠিপেটা, বিজেপির বিক্ষোভে জ্বলছে সন্দেশখালি]

শুধু জমি নয়, তার সাথে জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ চলছে বলেও দাবি করেন আবেদনকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা না পাওয়ায় অবশেষে হাই কোর্টের দ্বারস্থ তাঁর মক্কেল। আশীষ বাবুর আরও অভিযোগ, এইসমস্ত নির্মাণের কোন নকশা বা অনুমোদন নেই। দিনের পর দিন এভাবেই জমি দখল করে এভাবেই বেআইনি নির্মাণ চলছে।

মামলায় কাঁথি পুরসভার তরফে রিপোর্টে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও বাস্তবে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তারা পূর্ত দপ্তরের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে। এদিকে পূর্ত দপ্তর কাঁথি পুরসভার উপরে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। অথচ পুরসভার অন্তর্গত যে কোনও জায়গায় বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠলে তার দায় সংশ্লিষ্ট পুরসভাকেই নিতে হয়। বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গা নিয়ে এজলাসেই কাঁথি পুরসভা ও পূর্তদপ্তর একে অপরের দিকে আঙুল তোলায় কার্যত উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা।

[আরও পড়ুন: অস্ত্র মেরুকরণ! বারাকপুরের জনসভা থেকে ৫ ‘গ্যারান্টি’ দিলেন মোদি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মামলায় কাঁথি পুরসভার তরফে রিপোর্টে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও বাস্তবে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
  • তারা পূর্ত দপ্তরের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে।
Advertisement