গোবিন্দ রায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরবাড়ি সফরে অশান্তি নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের করা মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের। ডিজিকে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে পেশ করতে হবে রিপোর্ট।
আদালতের তরফে বলা হয়েছে, মামলকারীর অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এডিজে পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে এই তদন্তের দায়িত্ব দিতে হবে। যে সব ভক্তদের শোন অ্যারেস্ট করা হয়েছে তাঁদের জামিনে মুক্তি দিতে হবে। তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সপ্তাহে দুদিন দু’ঘণ্টার জন্য দেখা করবেন। মন্দির ও চাঁদপাড়া হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছেন।
গত ১১ জুন বনগাঁয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সফরকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাঁর পৌঁছনোর আগেই মতুয়া মহাসংঘের মাঠে অন্য একটি সভার আয়োজন করেন শান্তনুপন্থী মতুয়ারা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে অভিষেক যাওয়ার আগেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের মূল গেট। হাতাহাতিতে জড়ায় মতুয়াদের দুই পক্ষ। উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক কাউকে না জানিয়ে মতুয়া মহাসংঘের মন্দিরের সামনে মিছিল করেন। তৃণমূল দলবল নিয়ে মন্দিরে বেআইনি ভাবে ভিড় জমায় বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকী ভক্তদের নাকি হুমকিও দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে।
[আরও পড়ুন: বাণিজ্য মহলে ‘লক্ষ্মী’লাভ! পুরুষদের টেক্কা দিয়ে সাফল্যের কাহিনি শোনালেন দেশ-বিদেশের মহিলা শিল্পপতিরা]
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মন্দিরের তরফে অভিযোগও জানানো হয়। তবে তারপরও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। উলটে ওই দিনের ঘটনায় মন্দির কমিটি-সহ ভক্তদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি এফআইআর করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে হাসপাতালে হাতাহাতিতে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। ঠাকুরবাড়ির এই অশান্তির ঘটনায় বিহিত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর।