সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কাঁটা প্রভাবশালী তকমা। কলকাতা হাই কোর্টে খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আরজি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। আপাতত জেলেই থাকতে হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে।
গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। মোট ১৪৬ দিন ধরে জেলবন্দি দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। সিবিআইয়ের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি’ও। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে আচমকাই শিবঠাকুর মণ্ডল নামে এক তৃণমূল নেতা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন তৃণমূল নেতা।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিল! বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
তার ফলে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে ঠিকানা বদল হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। দুবরাজপুর থানায় রাখা হয় তাঁকে। বুধবার জামিনের আবেদন মামলার শুনানি চলাকালীন শিবঠাকুর মণ্ডলের প্রসঙ্গ ওঠে। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, এক বছর আগের ঘটনায় এখন কেন তৎপরতা? শিবঠাকুর মণ্ডলকে তো গুলি করা হয়নি। তাহলে এই মামলায় কেন অতিসক্রিয়তা?
সিবিআই আদালতে জানায়, অনুব্রত মণ্ডল জেলে বসে আইফোনের ফেসটাইম অ্যাপ ব্যবহার করেন। গত কয়েকমাসে ৩৯ বার ফোনে এনামূল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে বিচারব্যবস্থার উপর অশুভ শক্তির প্রভাব পড়বে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুব্রত মণ্ডলকে ‘রাজনৈতিক দৈত্য’ বলে উল্লেখ করেন। সওয়াল জবাব শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। স্বাভাবিকভাবে আপাতত জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে কি শেষমেশ দিল্লিতে যেতে হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্ন।