গোবিন্দ রায়: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পুলিশি পদক্ষেপ নয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের অন্তর্বর্তী নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই মামলা প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইআর ছেলেমানুষি।”
রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির বক্তব্য, অন্য ধরনা আগে থেকেই চলছিল। ধরনা চলাকালীন কেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল? যদি এখন এজলাসে কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তাহলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিজেপির আইনজীবী। জাতীয় সঙ্গীত শুনেও বিজেপি বিধায়করা থামেননি এমন নয় বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। দুপুর দুটোর পর ফের মামলার শুনানি হয়। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, “ধরনা কোনও অনুষ্ঠান নয়। মন্ত্রীরা থাকলেই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে? সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন? মামলা করে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। কত ধর্ষণ, অপরাধের মামলা এই সব ছেলেমানুষি মামলার জন্য শুনানি করা যাচ্ছে না।”
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমে’র দাপটে রাতভর বৃষ্টি, ভাসছে চেন্নাই! দেওয়াল ধসে মৃত ২]
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করে বিজেপি। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচির শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকে। আর তার জেরেই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। লিখিতভাবে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানান তিন তৃণমূল বিধায়ক। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই বিধানসভায় সেন্ট্রাল ডিসিকে ডেকে পাঠান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিযোগপত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতেই ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় FIR দায়ের হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন লালবাজারে তলব করা হয়েছে তাঁদের। কেউই হাজিরা দেবেন না বলে ই-মেল মারফৎ জানান।