শুভঙ্কর বসু: আলিপুর চিড়িয়াখানার ইউনিয়নের দখল নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে এবার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। আগামী একমাসের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে এই ঘটনা নিয়ে আলিপুর এবং খিদিরপুর থানা থেকে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়েছিল আদালতে। এরপর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের থেকে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ডিউটি সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পুলিশের গাড়ি, জখম ১০]
গত মাসের ২৪ তারিখ আচমকাই আলিপুর চিড়িয়াখানার (New Alipur Zoo) ইউনিয়নের দখল নিয়ে গন্ডগোল বাঁধে। চিড়িয়াখানার সামনে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে সংঘর্ষ তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কোভিড (COVID-19) বিধি উপেক্ষা করেই প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন চিড়িয়াখানার সামনে। দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রচুর পুলিশ সেখানে ছুটে গেলে, তাঁরাও আহত হন। জোর করে চিড়িয়াখানায় কর্মী সংগঠনের অফিস থেকে বিজেপির পতাকা নামিয়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের ঘোষণা, তাঁরা চিড়িয়াখানায় নিজেদের ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করল।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং অর্থাৎ এতদিন যাঁর নেতৃত্বে চলছিল ট্রেড ইউনিয়ন, তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ইউনিয়ন দখলের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার বেঞ্চে মামলার শুনানিতে পুলিশের রিপোর্ট চাওয়া হয়। আলিপুর ও খিদিরপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়ে জানায়, আবেদনকারী রাকেশ সিংকেই সেদিনের গন্ডগোলের মূলচক্রী বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেন। একমাসের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, ওই দিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল।