শুভঙ্কর বসু: বিজেপির (BJP) ৭জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গত দু’বছরে দায়ের হয়েছে ১৩৮টি মামলা। সেসব মামলা এই রাজ্য থেকে অন্যত্র সরানোর দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)মামলা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন। সোমবার সেই মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট।
পুজোর ছুটির পর তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। রাজ্যের হলফনামা জমা পড়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে আবার পালটা হলফনামা জমা দিতে পারবেন অরবিন্দ মেনন। সবমিলিয়ে, পুজার ছুটির ছ’ সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: পুজোয় সম্ভবত চলবে না অতিরিক্ত মেট্রো, হাই কোর্টের রায়ের পরই সিদ্ধান্ত বদলের ভাবনা]
সোমবার অরবিন্দ মেননের (Arvind Menon) মামলায় দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। বিরোধী মতের কণ্ঠরুদ্ধ করতে দলের শীর্ষ নেতাদের টার্গেট করা হয়েছে। তাই মামলাগুলি অন্যত্র স্থানান্তর করা হোক বা সেগুলির তদন্তে দেশের অন্য কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করুক হাই কোর্ট। যদি এখনই তা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে আপাতত মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (Interim stay order) জারি করা হোক।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে করোনা, অ্যাম্বুল্যান্স ও হাসপাতালের বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার নির্দেশ মমতার]
মামলায় উল্লেখিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে ৪টি, মুকুল রায়ের নামে ১৯টি, দিলীপ ঘোষের নামে ২৪টি, বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে ৬টি, অর্জুন সিংয়ের নামে ৬৪টি, পবন সিংয়ের নামে ৯টি, সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান আটকাতে না পেরে রাজ্য প্রতিহিংসাবশত দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেও মামলায় অভিযোগ করেছেন মেনন। পরবর্তী শুনানি আগামী মাসে।