সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় পতাকার অবমাননা মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য অভিযোগ খতিয়ে না দেখে, কে মামলা করেছে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে।” উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকাকে উত্তোলনকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়েছিলেন বাঁশবেড়িয়ার এক স্কুলে। এনিয়ে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অভিযোগ, বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস হাই স্কুলে জাতীয় পতাকার উত্তোলনের সময় ৩০ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয়ে জাতীয় পতাকা টেনে নামানো হয়। দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। এমনকী, ছোঁড়া হয় পাথরও। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এদিন রাজ্য প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
[আরও পড়ুন: ‘পালিয়ে যাইনি, ট্রেকিংয়ে ছিলাম’, যাদবপুর কাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন অরিত্রর আত্মপ্রকাশ!]
এদিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের ভিতরে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। রাজ্য অভিযোগ খতিয়ে না দেখে, কে মামলা করেছে, সেদিকে তাকিয়ে আছে। এটা ঠিক নয়।” যদিও আদালতে রাজ্য়ের এডিজির দাবি, “ঘটনাটি স্কুলের নয়। স্কুলের বাইরের। দু’টি এফআইআর হয়েছিল। ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।” পালটা মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, “যদি কিছু না ঘটে থাকে, তাহলে এতজনকে গ্রেপ্তার কেন করা হল?” দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালতের পর্যবেক্ষণ,”জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাজ্যের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। স্থানীয় পুলিশের স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে আরও আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। সমস্ত অভিযোগে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। রাজ্য যদি চোখ বন্ধ করে থাকে তাহলে সব কিছুই অন্ধকার লাগবে।”