সুমন করাতি, হুগলি: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় প্রাণহানি। তারই মাঝে উধমপুরে জঙ্গির গুলিতে বাংলার বীর সন্তান সেনা জওয়ান শহিদ। আবার এই আবহে পাকিস্তানে বন্দি ভারতের বিএসএফ জওয়ান। তিনিও বঙ্গসন্তান। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের ডিজি'র সঙ্গে রিষড়ার ভূমিপুত্রকে নিয়ে ফোনে কথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে সেকথা জানান শ্রীরামপুরের সাংসদ।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথার পর তিনি জানান, "পাকিস্তানে বন্দি ভারতের বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে নিয়ে সদ্যই বিএসএফের ডিজি'র সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ভারতীয় প্রশাসনিক মহল থেকে তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে। পাকিস্তান হয়তো কিছুটা সময় নিচ্ছে। কিন্তু ভারতের বিএসএফ জওয়ান ঠিকই ফিরবেন দেশে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ভালো আছেন পূর্ণম। তাঁর শারীরিকভাবেও সুস্থ।"
পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে পোস্টিং হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ পূর্ণমকুমার সাউ। বুধবার বিকেলে ‘ভুল করে’ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন। তারপরই তাঁকে আটক করে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক মারা গিয়েছেন। সেই ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। পালটা প্রত্যাঘাতের বার্তা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই ভারতীয় জওয়ানের পাকিস্তানে আটকে পড়ার খবর সামনে আসে। জওয়ানকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন সকলে। উৎকণ্ঠায় তাঁর পরিবারের লোকজন। পূর্ণমকুমার সাউয়ের পাকিস্তানে আটকে পড়ার খবর পাওয়ামাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ ও মা দেবন্তি দেবী। শুক্রবার হুগলি জেলা তৃণমূল এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল বিএসএফ জওয়ানে বাড়িতে যায়। রাজ্য সরকার সবসময় পাশে আছে বলে জানানো হয়েছে। বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সবরকমভাবে ওই পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
