গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির প্রথম দিনেই বিচারপতিদের তোপের মুখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আদালতের প্রশ্ন, পর্ষদ কীভাবে হাই কোর্টে একধরনের কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা বলতে পারে! কেন একথা বলেছে, সেটা পরিষ্কার করে পর্ষদকে জানাতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে হাই কোর্টে হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাই কোর্টে শুনানি চলাকালীন পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, নিজেদেরে ক্ষমতা প্রয়োগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের নিয়োগ বাতিল করেছে। আবার সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছে, হাই কোর্টে চাপে তারা একাজ করতে বাধ্য হয়েছে। কেন দুই আদালতে দুরকম কথা জানিয়েছে পর্ষদ, হলফনামা আকারে তা জানতে চায় হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ‘তৈলমর্দন করলেই পছন্দের জায়গায় পোস্টিং দেন!’ DPSC-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির]
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা ফিরেছে কলকাতা হাই কোর্টে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে শুনানি শেষে ডেডলাইন বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতো এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা আগামিকাল শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হবে জানিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা শীর্ষ আদালত কেন হাই কোর্টে পাঠালো তা আগে বুঝতে চায় নবগঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানাচ্ছে, এখানে একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আরও নতুন আবেদন যুক্ত হবে কিনা বা একই ধরনের মামলা থাকলে মামলার সংখ্যা কমিয়ে এনে শুনানি করা হবে। রাজ্যের হয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই সমস্ত মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই একতরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
[আরও পড়ুন: Bratya Basu: আন্দোলনকারীদের চাকরি দিতে চায় রাজ্য, নিয়োগের কৌশল বাতলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী]
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সমস্ত প্যানেল যদি বাতিল করা হয় বেশ কয়েক বছর চাকরি করার পর হঠাৎ করে এই কর্মরতদের বিতাড়িত করা হবে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। কোন আইনের বলে চাকরি বাতিল করা হবে সেটা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চায় হাই কোর্ট। আগামিকাল শুনানি।