গোবিন্দ রায়: জলাশয় বুঝিয়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিভিন্ন সময়ে পুকুর ভরাটের বিরোধিতায় একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে আদালত। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও একাধিক নির্দেশিকাও রয়েছে। আবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে একটি জলাশয় বোজানোর অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। বুধবার এই সংক্রান্ত এক মামলায় কড়া পদক্ষেপ নিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, যদি কারও বিরুদ্ধে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ ওঠে, তাহলে ওই জলাশয় কে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরই। আদালত আরও জানিয়েছে, যদি কোনও এলাকার স্থানীয় ক্লাব বা সংস্থা, আবর্জনা বা অব্যবহৃত জিনিস ফেলে জলাশয় বন্ধের চেষ্টা করে তাহলে তাদেরই জলাশয় পরিষ্কারের দায়।
[আরও পড়ুন: ধনঞ্জয় কাণ্ড টেনে নাম না করে অসুস্থ বুদ্ধকে খোঁচা, বিতর্কে কবীর সুমন]
মামলাকারীর আইনজীবী গৌতম সরদার জানান, এক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল বারুইপুর প্লাটফর্ম সংলগ্ন প্রায় ৩০ বিঘা জলাশয় চক্রান্ত করে বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি ক্লাব। তার প্রেক্ষিতে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় হাই কোর্টে। এদিন এই সংক্রান্ত মামলায় আদালত জানিয়েছে, ওই সংস্থা বা ক্লাবকেই দিতে হবে পরিষ্কার করার খরচ। পাশাপাশি, আগামী দু’মাসের মধ্যে ওই পুকুর পরিষ্কারের জন্যে ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের প্রতিনিধি, বারুইপুরের বিডিও, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় পুরসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গড়েছে আদালত। প্রশাসনকে ওই সময়ের মধ্যে পরিষ্কারের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ক্লাব বা যে কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি জলাশয়ে ময়লা ফেলার জন্য দায়ী হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারবেন জেলাশাসক। জঞ্জাল পরিষ্কারের খরচও তাদের কাছ থেকেই চাওয়া হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।