গোবিন্দ রায়: গ্রেপ্তারির পর ৬০০ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু ধৃতের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক কী প্রকার, তা এখনও জানা যায়নি। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে জেলেই রয়েছেন ধৃত। এ খবর পাওয়া মাত্রই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। বিস্মিত বিচারপতির প্রশ্ন, কোনও অভিযুক্তকে কি এতদিন ধরে আটকে রাখা যেতে পারে? মাদক মামলায় অভিযুক্তকে নিয়ে রাজ্যের কী মত, জানতে চায় আদালত।
২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গির মণ্ডল নামে যুবককে আটক করে বনগাঁ থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ধৃতের পকেট থেকে মেথামফেটামাইন মাদক উদ্ধার হয়। কিন্তু এটা কী ধরনের মাদক, তা পরীক্ষা করার পরিকাঠামো রাজ্যে নেই। তাই তা জানতে গাজিয়াবাদের এক ল্য়াবরেটরিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এখনও রিপোর্ট আসেনি বলে খবর।
[আরও পড়ুন: পরকীয়া জানতে পেরে হত্যা! উস্তিতে মাকে খুনের পর দেহ লোপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছেলে]
এদিকে ৬০০ দিন জেলেই রয়েছেন জাহাঙ্গির। নিষ্কৃতি পেতে জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জাহাঙ্গির মণ্ডল। সোমবার শুনানিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য় বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালতে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধিকর্তা জানিয়েছেন, এ ধরনের মাদকের নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামো রাজ্যে নেই। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, কোনও অভিযুক্তকে কি এতদিন ধরে আটকে রাখা যেতে পারে? এ নিয়ে রাজ্যের ভাবনা জানতে স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকাকে তলব করেছে হাই কোর্ট। আগামিকাল সকাল দশটায় তাঁকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে তা জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট।