শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জোড়া খুনের মামলার রায়দান নিয়ে দুই বিচারপতির মত পার্থক্য। জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ থেকে মামলা গড়ালো প্রধান বিচারপতির এজলাসে। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা পাওয়া অভিযুক্ত রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে আবেদন জানায়। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে ভিন্ন মত দিলেন দুই বিচারপতি। তার জেরে মামলা গেল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর কালিম্পং থানা এলাকার তাসিডং গ্রামের বাসিন্দা বাহাদুর হরকা এবং তাঁর স্ত্রী বিষ্ণুমায়া ছেত্রী খুন হন। ঘটনায় কৃষ্ণ প্রধান নামে এক গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করে কালিম্পং থানার পুলিশ। কালিম্পং (Kalimpong Court) আদালতে চলে মামলা।
[আরও পড়ুন: নিট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল কলকাতার! নিউটাউনের আবাসনে তল্লাশি সিবিআইয়ের]
দীর্ঘদিন মামলা চলার পর নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল জানান অভিযুক্তের আইনজীবী। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলছিল। সেই মামালর রায় ঘোষণার দিন ছিল মঙ্গলবার।
রায়দানের পর দেখা যায়, দুই বিচারপতি ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি সৌমেন সেন অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা রদ করে দিয়ে ১৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। অপরদিকে, বিচারপতি পার্থসারথি সেন সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেন। এর পরেই সাময়িক দোলাচল তৈরি হয়। তবে সার্কিট বেঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, এই মামলায় দুই বিচারপতি দুই রকম রায় দিয়েছেন। তাই এই মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে।