শুভঙ্কর বসু: অবশেষে রাজ্যের প্রাথমিক টেটের (Primary TET) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে আইনি জট কাটল। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে এই মুহূর্তে যে ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কাজ চলছিল, তাতে আর কোনও বাধা রইল না। ইতিমধ্যে যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরও আর অনিশ্চয়তা রইল না। ভোটের আগে হাই কোর্টের এই রায়ে যেমন প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির হাওয়া, তেমনই স্বস্তিতে রাজ্য সরকারও।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ২ মাসের মধ্যেই প্রাথমিক টেটে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তড়িঘড়ি নথিপত্র সংগ্রহ করে ফলপ্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে প্রথম ধাপে ফল প্রকাশ করা হয় ১৫,২৮৪ জনের। সেইমতো শুরু হয় নিয়োগ। বেশ কয়েকজনের হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলের চাকরিতেও যোগ দেন। কিন্তু নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে। তার জেরে গোটা প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। যার জেরে চাকরিতে যোগ দিয়েও অনিশ্চয়তায় পড়ে বহু শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। আদালতের স্থগিতাদেশের পর তাঁদের বেতন বন্ধ করা নিয়েও প্রাথমিকভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করা হয়।
[আরও পডুন: রাতের কলকাতায় মদ্যপ যুগলের ‘দাদাগিরি’! অ্যাপ ক্যাব ভাঙচুর, চালককে মারধরের অভিযোগ]
এরপর বুধবার হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা থাকলেও, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বৃহস্পতিবারই শুনানি হয়। তাতেই সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। তবে ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্তের কথাও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে, মেধা তালিকা শুধু ওয়েবসাইটে নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ডিআই (DI) অফিসে টাঙাতে হবে। এছাড়া প্রাইমারি টেট সংক্রান্ত অন্যান্য মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।