গোবিন্দ রায়: মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য করে গ্রেপ্তার হন হাওড়ার বাসিন্দা এরশাদ সুলতান। এই গ্রেপ্তারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে জেল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির।
গত ২৪ জুন, নবান্ন পুরসভা, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং উচ্চপদস্থ আমলাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ও। সেখানে হাওড়া পুরসভার পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি জমি দখল নিয়ে সোচ্চার হন। ওই বৈঠক সোশাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার হয়। সোশাল মিডিয়ায় ওই লাইভ সম্প্রচারের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করেন এরশাদ সুলতান নামে ওই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: ভোলে বাবার ঘরে শুধু সুন্দরী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি! রহস্যে মোড়া ধর্মগুরুর আশ্রম]
তিনি হাওড়ার শিবপুরের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা। কমেন্ট বক্সের পর সোশাল মিডিয়াতেও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি লেখেন, "অরূপ রায় হাওড়া পুরসভার ২৭ এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর বুজিয়ে ফেলেছেন।" তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। গত ২৮ জুন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ জুন তাঁকে শিবপুর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরই গ্রেপ্তার হন। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়।
বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওই মামলার শুনানি হয়। তাতে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ৩০ জুন অর্থাৎ গ্রেপ্তারির দিনের শিবপুর থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির মন্তব্য,"ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ। কোনও নাগরিক ক্ষোভ জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে? অরূপ রায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেছেন? দুই ব্যক্তির নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করল, আর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করল? অযথা নাক গলিয়েছে পুলিশ।" সওয়াল জবাব শেষে এরশাদ সুলতানকে এদিন বিকেল ৫টার মধ্যে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।