গোবিন্দ রায়: স্কুল শিক্ষকের বদলি নিয়ে মানবিক সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। অটিস্টিক সন্তানের দেখভালের জন্য বদলি চেয়েছিলেন শিক্ষক বাবা। কিন্তু হুগলি জেলা শিক্ষাদপ্তর সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিল তাঁর আরজি। মঙ্গলবার সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন ওই শিক্ষককে দ্রুত বদলির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলাকারী তারকেশ্বরের পদ্মপুকুরের বাসিন্দা দেবজ্যোতি মণ্ডল। তিনি বর্তমানে বীরভূম জেলার জেথিয়া জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান, নিজের অটিস্টিক ছেলের জন্য বদলি চেয়েছিলেন দেবজ্যোতিবাবু। চেয়েছিলেন বাড়ির কাছে স্কুল হলে ছেলের সুচিকিৎসা করাতে পারবেন। সেই সংক্রান্ত নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছিলেন শিক্ষক। কিন্তু স্কুল সহায়তা করেনি। তাই বাধ্য হয়েই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষক।
[আরও পড়ুন: বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নতুন নয়, ফিরে দেখা বাম আমলের এই ৭ গণহত্যার কাহিনি]
এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই শিক্ষককে তারকেশ্বর বালিজিরি অধর্মিনি স্কুলে বদলির নির্দেশ দেন। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি আরও জানান, সন্তানের মঙ্গলের জন্য অবিলম্বে ওই শিক্ষককে বদলি করতে হবে। শিক্ষকের উদ্দেশ্যে বিচারপতির মন্তব্য, “ছেলেকে নিয়ে হাসিখুশি থাকুন। চিন্তা করতে হবে না বাড়ির কাছে স্কুলে শিক্ষকতা করবেন আর ছেলের চিকিৎসা করাবেন।”
অন্য আরেকটি মামলায় এদিন শ্রীকান্ত জানা নামে এক শিক্ষকের পেনশন চালুর জন্য নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ,স্রেফ প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে একজন শিক্ষকের পেনশন পাওয়ার অধিকার নষ্ট হতে পারে না। প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে চাকরি জীবনে ১০ বছর পূরণ হয়নি তাঁর। এই যুক্তিতে স্কুল শিক্ষাদপ্তর পেনশন দিতে রাজি হয়নি। এ প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার সময়সীমা ছিল এক মাস। কিন্তু প্রশাসনিক গাফিলতিতে তাই চার মাস বিলম্ব হয়েছে। আর এই বিলম্বের জন্য শিক্ষক দায়ী নন।